সকল মেনু

মোবারকগঞ্জ চিনিকলে ৬২ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত

unnamed মোবারকগঞ্জ চিনিকল ঘুরে এসে যশোর প্রতিনিধি আব্দুল ওয়াহাব মুকুল: দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলে দু’ বছরের প্রায় ৬২ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অথচ রমজান মাসে চিনির ব্যাপক চাহিদা  থাকলেও কিসের একটা কারনে যেন চিনি বিক্রি হচ্ছে না।
ফলে শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের  ২ মাসের বেতন,  ঈদ বোনাস এবং আখ বিক্রেতাদের পাওনা টাকাসহ বকেয়া প্রায় ৬ কোটি টাকা দেয়া এখনও সম্ভব হয়নি। বেতন না পেয়ে অর্থের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে শ্রমিক কর্মচারীরা।
মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন  বলেছেন মিলের গুদামে পড়ে আছে ১৬ হাজার ৭শ ৬৫ মেট্রিক টন চিনি। যার আনুমানিক মুল্য  প্রায় ৬১ কোটি  ৯৯ লক্ষ ২২ হাজার ৫০ টাকা। মিলের কাছে শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের  মে ও জুন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস বাবদ  ৩ কোটি ৯৬  লাখ টাকা, ২০১৪-১৫ আখ মাড়াই মৌসুমে কারখানা ও কৃষি বিভাগের অধিকাল ভাতা বাবদ ১৫ লাখ টাকা এবং কৃষকের আখ বিক্রির  পাওনা ২ কোটি ১০ লাখ টাকাসহ প্রায় ৬ কোটি ৬ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। চিনি বিক্রি হচ্ছে না যার কারনে বেতন ঠিকমতো দিতে পারছি না।
শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম নবী ও সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঐ একই তথ্য জানানো হয়েছে। ইতিপূর্বে শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের বকেয়া পরিশোধের দাবিতে গত বৃহষ্পতিবার মিলের প্রধান ফটকে সমাবেশ করে এবং বেতন-ভাতা দাবি করে। আগামী ৬ জুলাইয়ের মধ্যে বয়েকা টাকা পরিশোধ না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান মিল কর্তৃপক্ষ চিনি বিক্রির জন্য ইতিমধ্যে খুচরা পর্যায়ের ডিলার তৈরি করে চিনি বিক্রি করছে। খুব তাড়াতাড়ি শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বোনাস দিতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন। আবার চাষীদের আখ বিক্রির  টাকা তিন মাসেও সম্পূর্ণ পরিশোধ হয়নি। তাদের টাকাও চিনি বিক্রি করে অচিরেই পরিশোধ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top