সকল মেনু

চাঁদপুরে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশংকা

unnamed নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর: একটি  বিলবোর্ডকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ভদ্রভাবে শাসিয়েও যখন বিলবোর্ডটি সরানো যাচ্ছিল না তখন জেলা ছাত্রলীগেরই একজন দায়িত্বশীল নেতার ইংগিতে তারই অনুসারী অপরাপর বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী ওই বিলবোর্ডটিই রাতের আধারে গুমই করে ফেলেছে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, চার বছর আগে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের শেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এক বছর মেয়াদের ওই কমিটির কার্যক্রমের মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়ে গেলেও নানা কারণে এখন পর্যন্ত নতুন করে সম্মেলন অনুষ্ঠান না করায় পুরোনো কমিটিই দায়িত্ব পালন যাচ্ছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের একটি সম্ভাবনা দেখা দিলে সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী শহরের তালতলা এলাকার অধিবাসী পারভেজ করিম বাবু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদ প্রত্যাশী মোঃ মাসুদুর রহমান রিয়াজ সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে একটি বিলবোর্ড টানায় শহরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায়। ৫০০ স্কয়ার ফিটের দৃষ্টিনন্দন ওই বিলবোর্ডটির বাম দিকের উপরের অংশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর নাতি ও আইটি বিশেষজ্ঞ সজিব ওয়াজেদ জয় এর ছবি প্রথমেই স্থান পায়। এর ঠিক নিচেই চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, মুক্তিযুদ্ধে ক্র্যাকডাউন প্লাটুনের দুর্ধর্ষ সদস্য, ঢাকা মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি’র ছবি এবং ডান দিকে চাঁদপুর জেলা আ’লীগের সভাপতি ড. মোঃ শামছুল হক ভ’ঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল এবং  মাঝখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি স্থান পায়। সৌন্দর্য্য এবং নান্দনিকতা ও অবস্থানের কারণে বিলবোর্ডটি শহরজুড়েই আলোড়ন সৃষ্টি করে। এতেই টনক নড়ে ছাত্রলীগের সুবিধাবাদী একটি অংশের। তারা বিলবোর্ডটি সেখান থেকে সরাবার জন্য উঠে-পড়ে লাগে। প্রথমে বলা হয়, বিলবোর্ডে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছবি নেই, তাই এটি নামিয়ে ফেলতে। আবার বলা হয়, সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করার আগেই বিলবোর্ড লাগানোর কোন যৌক্তিকতা নেই- তাই এটি খুলে ফেলতে। এভাবে বিলবোর্ডের উদ্যোক্তাদের নানাভাবে কখনো অনুরোধ, কখনো ধমক দিয়ে বা শাসিয়েও যখন বিলবোর্ডটি নামানো যাচ্ছিল না, তখন একদিন দুপুরে কিছু মাস্তান দিয়ে ঢিল ছুঁড়ে বিলবোর্ডটির কিছু ক্ষতিসাধন করা হয়। বিষয়টি তখন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও অবহিত করা হয়। এই অবস্থারই ভেতর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় সবার অগচোরে বিলবোর্ডটিই অপসারণ করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।  এ নিয়ে শহরের তালতলা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top