সকল মেনু

দীর্ঘ ৫বছর পর দেশে ফিরেছে ৭৪ তরুনী

unnamed যশোর থেকে আব্দুল ওয়াহাব মুকুল: আমরা বাঁচতে চাই, নরক যন্ত্রনায় কুড়ে খেয়েছে আমাদের দেহ। আর যেতে চাইনা ভারতের বোম্বে। দেশেই থাকতে চাই। করুন আর্তির সাথে কথাগুলো বলেছে ভারতের বোম্বের বিভিন্ন নিষিদ্ধ পল্লি থেকে দেশে ফেরা তরুনীরা।  লোমহর্ষক কাহিনী জানান দেশে ফেরা তরুনীরা। ওরা বলেছে আমরা শাস্তি চাই পাচারকারীদের। মিথ্যা আশ্বাসে কাজের প্রলোভনে প্রতারিত হয়ে ভারতে পাচার হওয়া ৭৪ তরুনী দীর্ঘ ৫বছর পর আজ বৃহস্পতিবার সন্ধায় বেনাপোল স্থল বন্দর পথে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতের বনগাঁ মহাকুমা পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে গ্রহন করে পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।  ভারত সরকার ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে এদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় । ফেরত আসা তরুনীদের বাড়ি যশোর. নড়াইল, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, ঢাকা,কস্কবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বলে জানায় ইমিগ্রেশন ওসি আসলাম হোসেন খান। পুলিশ জানায়, সাংসারিক অস্বচ্ছলতা সহ বিভিন্ন কারনে গত ৩ থেকে ৫ বছর আগে দালালের খপ্পড়ে পড়ে মিথ্যা আশ্বাসে ভালো কাজের প্রলোভনে প্রতারিত হয়ে সীমান্ত পথে ভারতে যায় এসব নারীরা। বিউটি পার্লার স্কুল, বাসাবাড়ী, নার্সারী সহ বিভিন্ন নাম করে পরে দালাল চক্র তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে বোম্বের নিষিদ্ধ পল্লীতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করে তাদের। কয়েকজনকে বাসা বাড়ী হোটেল রেস্তরা সহ অন্ধ জগতে ঠেলে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ বোম্বাই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।  রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে ভারতের একটি এনজিও সংস্থা তাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরবর্তীতে দু দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরে তারা।  খুলনার ছদ্দনাম(মৌসুমী)(১৩) রিনা বেগম বলেন,আমাদেও বিউটি পার্লারের নাম করে বোম্বে নিয়ে খারাপ কাজ করিয়েছে। সেদিনের স্মৃতি ভীষন বেদনাদায়ক বলতেই চোখের পানি ছেড়ে দেয় রিনা। সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্মৃতি আক্তার বলেন একই কথা। নরক যন্ত্রনায় কুড়ে খেয়েছে তাদের দেহ। কোন বাধা অনুরোধ মানেনি কেহ। সবাই চাই দেহ-আর যেতে চাইনা ভারতের বোম্বে। দেশেই থাকত চায় ওরা –বলতেই কেঁদে ফেলে সে। পাচারের শিকার নারীরা যদি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় তাহলে তাদের আইনি সহয়তা করবেন বলে জানান যশোর রাইটস এর নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক  পুলিশ ও সমাজের প্রভাবশালী কিছু মানুষ পাচারকারীদের পক্ষ নিয়ে কাজ করায় পাচার মামলা আলোর মুখ দেখছে না। এতে ধরা ছোয়ার বাইরে থাকছে পাচারকারীরা বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ মহিলা আ্ইনজীবি সমিতি যশোর শাখার প্রগ্রাম অফিসার এডঃ নাসিমা খাতুন বলেন ওদেরকে পূনবাসন সহ আইনী সহায়তা দেওযা হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top