সকল মেনু

ভরা মৌসুমেও মেঘনায় ইলিশ নেই !

ilish-in

নিজস্ব প্রতিবেদক-লক্ষ্মীপুর, জাতীয়নিউজ.কম ২৪ জুন : আষাঢ় মাস। অবিরাম বৃষ্টি। ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু, নদীতে ইলিশ নেই। জেলেরা ফিরছেন শূন্য হাতে। এখন এমনই চিত্র লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলে। লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৪০ হাজার জেলের বসবাস। তাদের জীবিকা মেঘনা নদীকে ঘিরে। চলতি মৌসুমে মেঘনায় ইলিশ না থাকায় জেলেরা হতাশ। প্রত্যেক বছর জ্যৈষ্ঠ মাসে ইলিশের দেখা মেলে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টি শুরু হলে সাগর থেকে ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ আসতে থাকে নদীতে। জেলেদের জালে ধরা পড়ে  প্রচুর ইলিশ। কেনা-বেচায় মাছঘাটগুলো হয়ে ওঠে সরগরম। কিন্তু এবারের চিত্র উল্টো। দিন-রাত খাটুনি খেটেও জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না। নদীতে মাছ না পাওয়ায় ইলিশ নির্ভর উপকূলীয় জেলেদের চোখে-মুখে এখন অভাবের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রচুর বৃষ্টিতে ইলিশ ধরা পড়ে -অতীতের এমন অভিজ্ঞতা থেকেই ঝুঁকি নিয়ে বহু নৌকা-ট্রলার জড়ো হয়েছে মেঘনায়। টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতেও জেলেদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। খাওয়া-দাওয়া ও ট্রলারের জ্বালানি খরচও ওঠেনি তাদের। নদীতে ইলিশ ধরা না পড়ায় মাছঘাটগুলোতে বেচা-কেনার উৎসব নেই। রামগতি উপজেলার রামগতির ঘাট, গাবতলির ঘাট, আলেকজান্ডার ঘাট, পানির ঘাট এবং কমলনগর উপজেলা মতিরহাট ঘাট, বাতির ঘাট, কালকানি ঘাট ও লুধূয়া ঘাটগুলোতে আড়ৎদার-ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন। রামগতি মাছঘাটের ব্যবসায়ী মেহেরাজ উদ্দিন জানান, গত বছরের এ সময়ে ঘাট থেকে প্রায় ২০০ টন ইলিশ দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে যেত, কিন্তু এ বছর মাছ নেই। যে কারণে দুঃসময় চলছে।
মতিরহাট এলাকার জেলেরা জানান, নদীতে মাছ নেই। সারা দিন জাল ফেলে দুই-একটি ইলিশও জোটে। এখন দাদনের দেনা শোধের দুঃচিন্তায় আছেন তারা।
কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইব্রাহীম হামিদ শাহীন বলেন, মেঘনা নদীতে ডুবোচরের কারণে সাগর থেকে ইলিশ আসতে বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়বে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তন, জাটকা নিধন ও সচেতনতার অভাবে দিন-দিন ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে। যে কারণে আষাঢ়ের ভরা বৃষ্টিতেও ইলিশ নেই।
জাতীয়নিউজ.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top