সকল মেনু

ভারত বাংলাদেশ যৌথ বাঁধসহ হাতীবান্ধা উপজেলার ৯টি গ্রাম হুমকির মুখে

মাজহারুল ইসলাম ইসলাম বিপু,লালমনিরহাট: অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ ভাবে নির্মিত বাঁধ। শংকার মধ্যে পড়েছে দুই উপজেলার হাজার, হাজার মানুষ। নদী গর্ভে বিলীনসহ পানিতে তলিয়ে যেতে পারে হাতীবান্ধা উপজেলার ৯টি গ্রামের কমপক্ষে ৩০-৪০ হাজার পরিবারসহ প্রায় ৫০-৬০ হাজার হেক্টর ফসলী জমি। বিঘিœত হতে পারে সীমান্ত নিরাপত্তা। এ নিয়ে ন্থানীয়রা বাঁধ এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচী সহ বিভিন্ন আন্দোলন করলেও কাজের কাজ হয়নি কিছু। বন্ধ হয়নি বালু ও পাথর উত্তোলন। প্রায় ৭কোটি টাকা ব্যায়ে ভারত বাংলাদেশ যৌথ এই বাধটি বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার চরখরিবারী ও ভারতের কুচবিহার জেলার মেকলিগজ্ঞ থানার তিস্তা পস্তি বিএসএফ ক্যাম্পের সীমানা ঘেষে অবস্থিত।

স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙ্গন রোধে ভারতের বিএসএফ কে আস্থায় নিয়ে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে এখানে অস্থায়ী বাঁধ নির্মিত হয়। তখন থেকে এখানে সীমান্ত নজরদারী বৃদ্ধির পাশাপাশি ফলনও ভাল হতে থাকে। পরে যৌথ নদী কমিশন, বিজিবি ও বিএসএফর মধ্যে একাধিকবার বৈঠকের ফলে বিজিবি ও বিএসএফ এখানে ৬৪০ মিটার দীর্ঘ একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মানের সিদ্বান্ত নেয়। কাজও শুরু হয় চলতি বছরে।

কিন্তু একটি কুচক্রীমহল প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন করায় ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাঁধটি হাতীবান্ধা উপজেলার ৯টি গ্রামের কমপক্ষে ৩০-৪০ হাজার পরিবার তিস্তার ভাঙ্গন কবলিত হবে । ৫০-৬০ হাজার হেক্টর ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছে তারা।

নদীর মাঝখানে মেশিন বসিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করে তা স্তুপ করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে পূর্বদিকে ধাবিত হয়ে মুল বাঁধে আঘাত হানার আশংকা করছেন সানিয়াজান ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ। অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধ করার দাবিতে গত বুধবার দুপুরে বাধ এলাকায় মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছে ন্থানীয় জনগন। কর্মসূচীতে অংশগ্রহনকারী সাহেব মোস্তাফিজ জানান, জরুরী ভিত্তিতে অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধ না হলে আসন্ন বর্ষা মেীসুমে বাধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে ।

মানববন্ধনে কর্মসুচীতে অংশগ্রহনকারী এলাকাবাসী আশংকা প্রকাশ করে বলেন, বাধ ভেঙ্গে গেলে ডিমলা ও হাতীবান্ধা উপজেলার ৯টি গ্রামের কমপক্ষে ৩০-৪০ হাজার পরিবার তিস্তার ভাঙ্গন কবলিত হবে । ৫০-৬০ হাজার হেক্টর ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছে তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক বিজিবি কর্মকর্তরা জানান, বাধ ভেঙ্গে গেলে চরখরিবাড়ী এবং ঠ্যাংঝাড়া বিজিবি ক্যাম্প দুটি নিরাপত্তা হুমকীতে পরবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়া এর উপসহকারী প্রকৌশলী একে এম সরুতুজ্জামান জানান, বাধের দুই কিলমিটারের মধ্যে পাথর ও বালু উত্তোল করায় বাধটি হুমকির মধ্যে পড়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top