সকল মেনু

মানব পাচার রোধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১৬ জুন: মানব পাচর কেন হচ্ছে বা এ জন্য কারা দায়ী কিংবা এটি রোধে কি করনীয়- সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘মানব পাচার রোধে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।
তিনি বলেন, ‘মানব পাচারে জড়িত থাকায় থাইল্যান্ডে একজন জেনারেলকে বরখাস্ত করা হলেও বাংলাদেশে একজন কনেস্টেবলকেও বরখাস্তের খবর শোনা যায়নি। এটি বন্ধে দেশের ভেতরে-বাইরে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশের পররাষ্ট্র দফতরের উদাসীনতার কারণে মানব পাচার রোধ হচ্ছে না।’
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার মানব পাচার রোধে করণীয় নিয়ে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে নব্য দাস প্রথার আবির্ভাব ঘটছে। বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও মালয়েশিয়ার কিছু সংখ্যক মানুষ এ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। জিম্মি, কারারুদ্ধকরণ এবং হত্যাসহ নানা অপকর্ম তাদের অংশ হয়ে গেছে।’
তিনি এও জানান, গ্লোবাল স্লেভারি ইন্ডেক্স এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের ৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৯০০ ব্যাক্তি আধুনিক দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ। যা দেশের জনসংখ্যার ০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
সুজনের নির্বাহী সদস্য আলী ইমাম মজুমদার আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বলে সরকার প্রচারণা চালাচ্ছে। তাই মানব পাচারের বিষয়টি তাদের জন্য বিব্রতকর বলে বিষয়টি তারা এড়িয়ে যেতে চাইছে। কেবল কয়েকজন পাচারকারীকে ধরে তাদের নাম প্রকাশ করলেই হবে না; খুঁজে বের করতে হবে এর পেছনে থাকা রাঘব-বোয়ালদেরও। কারণ তাদের সহযোগিতা ছাড়া এতো সহজে মানবপাচার সম্ভব নয়।’
সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিনা লুংডেল, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top