সকল মেনু

নাটক নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কালচারাল অফিসার

unnamed সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জজেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসারের বিরুদ্ধে অফিস ফাকি দিয়ে এনজিওর নাটকে অভিনয় করা সহ নানান অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার মাহমুদল হাসান লালন  নাবিক নাট্য গোষ্ঠী থেকে কিছু সদস্য বের করে এনে  শিল্পকলা একাডেমীর নাট্য কলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে নাট্যধার নামে একটি নাট্য সংগঠন খুলেছে। এবং শিল্পকলা একাডেমীকে নাট্যধারের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে। কেয়ার বাংলাদেশ এনজিওর অর্থায়নে আড়ং দুধের প্রচারের জন্য একটি পথ নাটকের প্রকল্প পেয়েছে কালচারাল অফিসারের নাট্য সংগঠন নাট্যাধার। এই নাটক সিরাজগঞ্জ সহ আশেপাশের জেলা পাবনা,বগুড়া এবং রংপুরে প্রদর্শনী করা হচ্ছে। আর সরকারি কর্মকর্তা হয়েও এনজিওর অর্থায়নের এই নাটকে একটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকায় অভিনয় করছে শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার। অফিস সময়ে ছুটি না নিয়ে অফিস ফাকি দিয়ে এনজিওর নাটকে অভিনয় করা নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষণ বিভাগ দেখা শুনা করার দায়িত্ব কালচারাল অফিসারের অথচ শিল্পকলার নাট্য বিভাগে ছাত্র-ছাত্রী না থাকলেও তার গড়া নাট্য সংগঠনে সদস্য রয়েছে ৪০/৪৫জন।  শহীদ এম মুনসুর আলী অডিটরিয়ামে শিল্পকলা একাডেমীর অফিসে বসেন কালচারাল অফিসার আর এই সুযোগেসে কারো তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেমত নাট্যাধারের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে অডিটোরিয়ামের মঞ্চ। এমন কি অডিটোরিয়ামের পুরুষ গ্রীনরুম দখল করে ডরমেটরি হিসেবে নাট্য নির্দেশক শাহীন কে বসবাস করতে দিয়েছেন অনেক দিন। পরে সেখানে অনৈতিক কর্মকান্ড হচ্ছে এমন  প্রশ্ন উঠলে  গ্রীন রুম ত্যাগ করে শাহীন। কালচারাল অফিসার আর নির্বাহী কমিটির মধ্যে সমন্ময় না থাকার কারনে পিছিয়ে পড়ছে সিরাজগঞ্জের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। একটি বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছে নির্বাহী কমিটিকে না জানিয়ে নাট্যকর্মশালা করতে গেলে তা পন্ড হয়ে যায় আর তাতে নাট্য প্রশিক্ষন থেকে বঞ্চিত হয় সিরাজগঞ্জের নাট্য কর্মীরা। কালচারাল অফিসার নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই ইচ্ছেমত প্রশিক্ষন একাডেমী পরিচালনা করছেন এর আয়-ব্যয় হিসাব কমিটিকে দেয় না। এমন কি গত কয়েক মাস ধরে প্রশিক্ষন একাডেমীর উত্তোলিত অর্থ নাকি ব্যাংকে জমা দেয়নি। তার অশোভন আচরনের কারনে সিরাজগঞ্জের অনেক প্রবীন সাংস্কৃতিক কর্মী তার উপর ক্ষিপ্ত এবং তার এই আচরনের কারনেই অবিভাবকরা প্রশিক্ষন একাডেমী থেকে ছেলে মেয়ে ছরিয়ে নিচ্ছেন। শিল্পকলা একাডেমীর কর্মচারিদের থাকার জন্য অডিটোরিয়ামে একটি কক্ষ বরাদ্দ করা হলেও সেখানে সে ২ টি কক্ষ ব্যবহার করতে দিচ্ছে। সর্বপরি শিল্পকলা একাডেমীর ইবি রোডের (ভাসানী মিলনায়তন) কার্য্যালয় সে তার সাবেক নাট্য সংগঠন নাবিক নাট্য গোষ্ঠীকে  শিল্পকলার নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ছারাই ভাড়া প্রদান করেছে। যা নিয়ে নাট্য সংগঠন গুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এত অনিয়ম সে কিভাবে করছে এটাই এখন সকলের কাছে প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top