সকল মেনু

দিনাজপুর বিআরটিএ অফিসে অনিয়ম ও দূর্নীতি; সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পোয়াবারো

unnamed দিনাজপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), দিনাজপুর সার্কেল অফিসটি দীর্ঘদিন ধরে চক্র দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।  সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাত দালাল সম্রাট খালেক ও নাজমুল গং বিআরটিএ দিনাজপুর সার্কেল অফিসটি তাদের আয়ত্বে রেখেছে। দিনাজপুর বিআরটিএ সার্কেল অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ ডালিমউদ্দিন, মোটর যান পরিদর্শক মোঃ নুরুল ইসলাম, সিলমেকার ফরিদ, নৈশ প্রহরী আলম, পিয়ন তরিকুলদ্বয় সরকারী স্টাফ হিসেবে কাজ করছেন। এদের মধ্যে সিলমেকার ফরিদ ও নৈশ্য প্রহরী আলম রেজিষ্ট্রেশন/মালিকানা/বদলী/ফিটনেস পরিদর্শন এবং পিয়ন তরিকুল পাস লার্নার ফাইল / ফিস জমা / চিঠি গ্রহণ / চিঠি প্রেরণ অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন। খালেক ও নাজমুল তাদের অধিক উপার্জনের জন্য ১৫/২০ জন দালাল রেখেছেন। এই দালালরা দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে অধিক টাকা গ্রহণ করে তার ৩ ভাগ কর্মকর্তাদের বাকি এক ভাগ নিজেরা পকেটস্থ করছেন। দালালদের মধ্যে ফজলু, আজগার, আহমদ, ফারুক, পারভেজসহ রয়েছে অগণিত। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে দালালরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাতে রেখে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে আইনের অপপ্রয়োগ করছে। এ ব্যাপারে দিনাজপুরবাসী দালালমুক্ত বিআরটিএ দাবী করছে। আগামী ৩ জুলাই থেকে সরকার ঘোষিত রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামুলক হওয়ার সুযোগে বর্তমানে বিআরটিএ অফিসে উপচে পড়া ভীড়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দালাল মারফত হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এভাবে চললে সরকারী ঘোষিত দূর্নীতি রহিতকরণ মুখ থুবড়ে পড়বে আর প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ব্যাহত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top