সকল মেনু

মালিকের গাফিলতিতেই মনপুরায় ট্রলার ডুবি; অভিযোগ যাত্রীদের

unnamed ভোলা প্রতিনিধি: ট্রলার মালিক ও ঘাট ইজারাদারের গাফিলতির কারণেই ভোলার মনপুরার মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করছেন ট্রলারটির যাত্রীরা। আটককৃত চালকের সহকারীও পুলিশের কাছে স্বীকার করলো এই অভিযোগ। তদন্ত কমিটি গঠনসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ট্রলার ডুবির ঘটনায় স্বামী ও ছেলে হারিয়ে শোকে কাতর নুরুন নাহার। হাসপাতালে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতেই বারবারই ডুকরে কেঁদে উঠছেন। নদীর ¯্রােতে ১ ছেলের লাশ পাওয়া গেলেও এখনো নিখোঁজ স্বামী এবং আরো ১ ছেলে। নুরুন নাহারের মত মেঘনায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের আরো অনেক যাত্রী এখনো ভর্তি রয়েছেন মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আর এখনো নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে স্বজনরা অপো করছেন নদীর পাড়ে। স্বজনহারা অভিযোগ করে বলেন, ট্রলার মালিকের অবহেলা ও গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ট্রলার চালকের সহকারী মোঃ সুমন জানায়, মালিককে দু’দিন আগেই সর্তক করেছিলাম এই ট্রলারে লোক উঠানো যাবে না। কিন্তু মালিক শোনেননি।
মনপুরা থানার অফিস ইনচার্জ হানিফ সিকদার বলেন, ট্রলারের মালিক ও মাঝি একই ব্যক্তি। এ দুর্ঘটনার পিছনে যে বা যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। মনপুরা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছালাউদ্দিন হেলাল জানান, এ ঘটনার জন্য যেই দায়ী হোক না কেন তার বিচার দাবি করছি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কলাতলীর আবাসন ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে রামনেওয়াজের কাটাখালি ঘাট আসার পথে ডুবে যায় শতাধিক যাত্রীবাহী ট্রলারটি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিশু ও নারী মিলিয়ে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হলেও, নিখোঁজ রয়েছেন আরো ৮ জন। গত ২ মাসে মনপুরার মেঘনায় এ নিয়ে ৩টি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top