সকল মেনু

এক মন্ত্রে ভাগ্যবদল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, হটনিউজ ২৪ বিডি.কম  ১৪ জুন: ছিলেন টেলিভিশন মডেল। হয়ে গেলেন রাজবধূ। যেন রূপকথা! এক মন্ত্রে ভাগ্যবদল!
সুইডেনের রাজকুমার কার্ল ফিলিপ পারিবারিক ঐতিহ্য ভেঙে বিয়ে করেছেন প্রাক্তন এক টেলিভিশন মডেলকে। তাতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার চাকচিক্যে কোনো ভাটা পড়েনি। স্টকহোমের রাস্তায় লাখো মানুষ দীর্ঘক্ষণ সার হয়ে দাঁড়িয়ে নতুন রাজবধূকে দেখেছে, তার জন্য প্রার্থনা করেছে। রাজপরিবারে ছিল মহাধুমধাম।
নয়া রাজবধূর নাম সোফিয়া হেলকুভিস্ট। বয়স ৩০ বছর। টেলিভিশনে কাজ করা বাদ দিয়ে তিনি চাকরি নেন যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষক হিসেবে। একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে তার মাধ্যমে মানব সেবাও চালিয়ে যাচ্ছেন এখন।
হেলকুভিস্টের ৩৬ বছর বয়সি স্বামী যুবরাজ কার্ল ফিলিপ সুইডেনের রাজসিংহাসনের তৃতীয় উত্তরাধিকারী। কয়েকটি জরিপে দেখা গেছে, সুইডেনের রাজপরিবারের জনপ্রিয়তা কমছে। তা সত্ত্বেও যুবরাজের বিয়েতে জনতার উৎসাহের কমতি ছিল না।
সুইডেনের রাজা অর্থাৎ ফিলিপের বাবা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ এ বিয়েতে কোনো বাধা দেননি। তিনি নতুন দম্পতিকে আশীর্বাদ করেছেন। রাজপরিবারের চ্যাপেলে শুক্রবার ঘটা করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
প্রেমের বিয়ে। তাই ঐতিহ্য মানা যায়নি। যুবরাজ ফিলিপ ও হেলকুভিস্টের প্রথম দেখা হয় ২০১০ সালে, একটি রেস্তোরাঁয়। সেই চোখের দেখা প্রণয়ে গড়ায়। শেষ পর্যন্ত বিয়ে।
রাজবাড়িতে বিয়ে হচ্ছে, আর সুইডেনের গণমাধ্যম চোখ বুজে বসে থাকবে, তা তো হয় না। নতুন রাজবধূর বাড়ির খবর, হাঁড়ির খবর সব টেনে বের করেছে তারা। আপত্তিকর তথ্যও উঠে এসেছে।
হেলকুভিস্ট একটি ম্যাগাজিনে ২০০৪ সালে বক্ষ উন্মুক্ত (টপলেস) অবস্থায় প্রচ্ছদ মডেল হয়েছিলেন, খবরে সে তথ্য বলা হয়েছে। কিছুটা শালীনতা বজায় রেখে ছবিগুলো দেখানো হয়েছে। ২০০৫ সালে রিয়েলিটি টিভি শো ‘প্যারাডাইস হোটেল’- এ কাজ করেন। সেখানে স্বল্প বসনায় শো করতে হয়েছে তাকে। এ নিয়েও কথা উঠেছে।
তবে এসব নিয়ে চিন্তিত নন হেলকুভিস্ট। সোজা ভাষায় বলে দিয়েছেন, যেসব কাজ আগে করেছি, তা সে সময়ের চাহিদা মতো। এখন তা করা সম্ভব নয়।
রাজপরিবার সূত্রে জানা গেছে, হেলকুভিস্টের অতীত কী ছিল, তা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করে, তার দাতব্য কাজের মূল্যায়ন করেছেন রাজপরিবারের সদস্যরা। ফলে রাজবধূ হিসেবে তিনি অন্যদের মতোই মর্যাদা পাবেন।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হেলকুভিস্ট ও তার সহযোগীরা মিলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন প্রজেক্ট প্লেগ্রাউন্ড নামে প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া আফ্রিকার কয়েকটি দেশে ঘুরে ঘুরে কাজ করেছেন তিনি।
সুইডেনের আলভদালেন শহরে বেড়ে উঠেছেন হেলকুভিস্ট। ২০০৫ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে গিয়ে অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে ডিগ্রি নেন। এ সময় সেখানে তিনি যোগপ্রশিক্ষক ও হোটেল পরিচারিকার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
যুবরাজ কার্ল ফিপিলের আগে রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী তার বড় বোন ক্রাউন প্রিন্স ভিক্টোরিয়া এবং তার তিন বছরের মেয়ে প্রিন্সেস এসটেলে।
উল্লেখ্য, রাজা গুস্তাফের (৬৯) তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে ফিলিপ দ্বিতীয় এবং একমাত্র ছেলে। তার বড় বোন ভিক্টোরিয়া এবং ছোট বোন ম্যাডেলেইন।
তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।
হটনিউজ ২৪ বিডি.কম /এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top