সকল মেনু

বিলুপ্তির পথে পোস্ট অফিস সামগ্রী; লেটার বক্স এখন রাস্তার আপদ

unnamed স্টাফ রিপোর্টার: মানুষে জীবন যাত্রায় ডিজিটালের ছাপ পড়েছে। তাই বিশ্বায়নের দিকে হাতের মুঠোয় এসে গেছে সারা বিশ্ব। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর সুবিধা ভোগ করছে মানুষ। তথ্য আ্দান-প্রদানের ক্ষেত্রে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। এক সময় বাংলাদেশ থেকে  ইউরোপ-আমেরিকাসহ উপমহাদেশের যে কোন দেশে চিঠি পাঠাতে সময় লাগতো প্রায় ১ সপ্তাহ থেকে ১০ দিন আর ল্যান্ড ফোনে ট্রাংককলে লাইন পেতে অপেক্ষা করতে হতো ঘন্টার পর ঘন্টা। অন্যদিকে, টাকা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে মানি ওর্ডার পাঠাতে সময় লাগত দেশের অভ্যন্তরে ৫ থেকে ৭ দিন কিন্তু মোবাইল ফোন আবিস্কার হওয়ার পর থেকে খবর আদান-প্রদানের জন্য সময় লাগে কয়েক মুহুর্ত আর অন লাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় ২ মিনিটের মধ্যেই দেশের যে কোন স্থানে। মোবাইল ফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেট এখন খুবই সহজলভ্য এবং খরচও কম। একজন নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে যে টি ব্যবহার করা সম্ভব তাই এখন চিঠিপত্র, খাম, পোষ্ট অফিস, লেটার বক্স, টেলিগ্রাম, ট্রাংক কল এর প্রয়োজন শূণ্যের কোঠায় নেমে গেছে। এ সময় জিনিস এখন সেকেলে। সরকারী পর্যায়ে কিছু কিছু ব্যবহার হয়ে থাকলেও তা অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। তখন লেটার বক্স বা টিকেট, মানি ওর্ডার ফরম, টেলিগ্রাম মেশিন স্থান পাবে জাদুঘুরে। এখনই চিঠি ফেলার বাক্স বা লেটার বক্স অকেজো হয়ে পড়েছে। পূর্বের দিনে লেটার বক্সে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ শত চিঠি পাওয়া যেত এখন কোন সপ্তাহে ১ টি বা ২টি আর কোন সপ্তাহে চিঠি পাওয়া যায় না। দিনাজপুর শহরের নিমতলা মন্দিরের সামনে এমনি একটি লেটার বক্স আছে যার অবস্থা করুণ। লাল রঙের এই লেটার বক্সটির মাথার ঢাকনা ফুটো হয়ে গেছে, যেখান দিয়ে পানি প্রবেশ করে। কোন সহৃদয় বান ব্যক্তি আবার সেখানে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে পানি প্রবেশের পথ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। প্রয়োজন কমে যাওয়ায় সরকারীভাবে লেটার বক্সগুলি মেরামত করা হয় না। তাই শহরের লেটার বক্সগুলি এখন রাস্তার আপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top