সকল মেনু

ঢাবি ছাত্রলীগের কাউন্সিল : দৌড়ঝাঁপে এগিয়ে যারা

chatro1433925789 ঢাবি প্রতিবেদক : ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার কাউন্সিল আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বহু জল্পনা-কল্পনার পর আসছে ছাত্রসংগঠনটির ঢাবি শাখার নেতৃত্বে নতুন মুখ। কে নিচ্ছেন আগামীর নেতৃত্ব, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে রয়েছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। কমিটিতে পদ চেয়ে এ পর্যন্ত ১৯০টি জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী।

ঢাবি ছাত্রলীগের আগামীর নেতৃত্ব হিসেবে আলোচনায় আসছে অনেকের নাম। তাদের মধ্যে এগিয়ে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় সহ-সভাপতি খায়ের মো. চৌধুরী, মো. হান্নান হোসেন তালুকদার, আবুল হাসান রুবেল, যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, জহুরুল হক হল শাখার সভাপতি রিফাত জামান, সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়, বঙ্গবন্ধু হলের সভাপতি দারুস সালাম শাকিল, জসীমউদ্দিন হলের সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, সূর্যসেন হলের সভাপতি মোবারক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক সুজন।

আরো আলোচনায় আছেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদ সবুজ, আসাদুজ্জামান শিকদার, আসাদুজ্জামান আসাদ, আদিত্য নন্দী, আবুল হাসান রুবেল ও মেহেদী হাসান, সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, ফারুক হোসেন ও খায়ের চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান সাইফ ও হান্নান হোসেন তালুকদার, জসিম উদদীন হল শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, মাস্টার দা সূর্যসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক সুজন, মুক্তিযোদ্ধা হল শাখার সভাপতি আবু সলমান প্রধান শাওন ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্স, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হল শাখার সভাপতি দারুস সালাম শাকিল, জহরুল হক হল শাখার সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়, এএফ রহমান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন প্রমুখ।

কাউন্সিলকে ঘিরে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতা-কর্মীদের দ্বারা কানায় কানায় পূর্ণ থাকছে মধুর ক্যান্টিন। বিভিন্ন হল শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা নিজেদের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ভিড় করছেন। কাউন্সিলকে ঘিরে মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু করে সরগরম হয়ে ওঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে আলোচনা রয়েছে কাউন্সিল নিয়ে। রাজনীতির সূতিকাগার বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন হল-রুমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও একই আলোচনা- কে হচ্ছেন আগামী দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কা-ারি।

পদপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ বলছেন, ‘ঊর্ধ্বতনরা যাকে যোগ্য মনে করছেন তাকেই দিবেন। এতে আমাদের কোনো হাত নেই।’ অনেকে আবার ঊর্ধ্বতন নেতা-কর্মীদের সান্নিধ্য লাভের বহু প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

সবার প্রচেষ্টা, লোভনীয় সম্মানীয় পদটি যেন নিজের কাছে আসে। বিশেষ করে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কারা বসছেন এ সম্মানের আসনে। আবার অনেকের দৌড়ঝাঁপ যেকোনো ভাবে সুপারফাইভে থাকার জন্য। এ নিয়েও নানা স্তরের লবিং তদবির চলছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। চলছে আঞ্চলিক সুবিধা নেওয়ার তুমুল প্রচেষ্টাও।

ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণে একটাই আলোচনা, কে আসছেন, কী হতে যাচ্ছে, কী ঘটতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার। মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি, রোকেয়া হল গেইট, ডাস, মুহসীন হল মাঠ সব জায়গায় একই আলোচনা। প্রতিদিন মধুর ক্যান্টিনে নিজের কর্মী ও জনবল প্রদর্শনেরও চলছে ব্যাপক প্রচেষ্টা। চলছে ব্যাপক শোডাউন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যোগ্য, পরিশ্রমী, সমালোচনার ঊর্ধ্বে যারা রয়েছেন, তারাই নেতৃত্বে আসবেন। যারা সংগঠনের নেতৃত্বে এসে সংগঠনের মান ডুবাতে পারেন, এমন কাউকে নেতৃত্বে নেওয়া হবে না।

এদিকে কিছু নেতা-কর্মীর বহিষ্কারাদেশ থাকলেও তা উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মূলত ক্যাম্পাস শোডাউনকে চাঙ্গা করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতারা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

তবে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল থেকে নেতৃত্ব আসতে পারে গুঞ্জন রয়েছে। একই সঙ্গে ঊর্ধ্বতন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিও এক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। দৌড়ঝাঁপে যারা এগিয়ে রয়েছেন, তারা নির্দিষ্ট এলাকার ও কাছের বড় ভাইদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন বলেও সূত্র জানায়।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদ সবুজ বলেন, ‘মেহেদী ভাই ও ওমর শরীফ ভাইয়ের কমিটি যে সুন্দর-সুশৃঙ্খলভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেছেন, তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার রয়েছে।’ আগামীর নেতৃবৃন্দও যেন এমন সৎ যোগ্য হয় এমনটাই তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সূর্যসেন হলের সাধারণ সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক সুজন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ যাদেরকে যোগ্য মনে করবে তাদেরকে দিয়েই কমিটি হলে কমিটি সুন্দর-সুশৃঙ্খল হবে।’ নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন করার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতনদের সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা বলেন, ‘সৎ, যোগ্য, দক্ষ, শিক্ষিত, কর্মঠ ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। কোনো বহিষ্কৃত, চোরাকারকারবারি, চাঁদাবাজের স্থান ছাত্রলীগে অতীতেও হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top