সকল মেনু

প্রচন্ড তাপদাহে নীলফামারীর জনজীবন অতিষ্ঠ

unnamed মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ০৫ জুন: প্রচন্ড তাপদাহের প্রবাহে পুড়ছে মানুষ, ক্ষেত ও ফসল। তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হওয়া খেটে খাওয়া নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ, শিশু, বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীরা। গত তিন-চারদিন থেকে অসহণীয় তাপদহের গরমের জেলা সদরসহ সৈয়দপুর, ডোমার, জলঢাকা, ডিমলা ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলার জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির। শুরু হওয়া এই অসহণীয় তাপদাহে বিদ্যালয়গামী শিশু, বৃদ্ধ, শারীরিক কর্মজীবি মানুষ ও এ্যাজমা রোগীরা পড়েছেন সব থেকে বেকায়দায়। এর সাথে বিদ্যুতের দিন-রাতের লোডশেডিং ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে রাতের লোডশেডিংয়ে স্কুল ও ডিগ্রী পরীক্ষার্থীরা পড়েছেন বেশী বেকাদায়। শুক্রবার নীলফামারীর জুড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৫ এবং সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ২৬.২ ডিগ্রি সেলসসিয়াস রেকর্ড করেছে ডিমলা আবহাওয়া অফিস। সুত্র মতে, সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় প্রচন্ড গরম অনুভুত হচ্ছে।
এদিকে, জেলার সর্বত্র জ্বর ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন গরমজনিত রোগ-বালাইয়ে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। এ ব্যাপারে নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. আ. রশীদ বলেন, অত্যধিক গরমে জ্বর ও পেটের সমস্যা এবং এ্যাজমা রোগীদের শ্বাসকস্ট হতে পারে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ঠান্ডা পানি, ডাব, গ্লুকোজ ও ওরস্যালাইন খেতে হবে এবং তেল, ঝাল ও মশলা জাতীয় খাবার কম খাওয়া পরামর্শ দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top