সকল মেনু

আলোচনা হচ্ছে তিস্তা নিয়ে পর্দার অন্তরালে

ta3opdgc-e1404301811825-300x168মনিরুজ্জামান,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: পরাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ‘মমতা আজ ঢাকায় আসছেন। তিস্তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে পর্দার অন্তরালে। আলোচনা এগিয়ে চলছে। তাই এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। আপনারা ধৈর্য ধরেন সাফল্য আসলে আপনাদের জানাবো।’ শুক্রবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘মোদির বাংলাদেশ সফরে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বাণিজ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে। বাণিজ্য চুক্তিতে নতুন কিছু উপাদান থাকছে।’

তিস্তা চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি কূটনৈতিক ব্যর্থতা কি না এমন প্রশ্নের জবাব মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তা মনে হয় না। এই মুহূর্তে ভারত-বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত । ডিপ্লোমেসি কখনো প্রকাশ্যে হয় না, হয় চোখের আড়ালে। রাতারাতি কোনো কিছু অর্জিত হয় না।’

তিনি আরো বলেন, ‘মানবপাচার বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। এজন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা হবে।’

খালেদার সঙ্গে বৈঠক হচ্ছেনা নরেন্দ্র মোদীর

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

শুক্রবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন মন্ত্রী।

মাহমুদ আলী বলেন, মনে হয় না তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের কোনো সুযোগ আছে।

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজ শুক্রবার মমতা আসছেন। আলোচনা চলছে। তিস্তা নিয়ে পর্দার আড়ালে আলোচনা চলছে। আপনারা ধৈর্য ধরেন সাফল্য আসলে আপনাদের জানাবো।’

তিস্তা চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি কূটনৈতিক ব্যর্থতা কি না এমন প্রশ্নের জবাব মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তা মনে হয় না। এই মুহূর্তে ভারত-বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত । ডিপ্লোমেসি কখনো প্রকাশ্যে হয় না, হয় চোখের আড়ালে। রাতারাতি কোনো কিছু অর্জিত হয় না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ৬-৭ জুন রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসবেন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে। সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, বৈঠকের পর উভয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্থলসীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত চুক্তির ও অনু সমর্থনের দলিল বিনিময় হবে। এছাড়া কয়েকটি চুক্তি/প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, অভ্যন্তরীণ নৌ প্রটোকল, উপকূলীয় নৌ চলাচল চুক্তি, পণ্যের মান স্ট্যান্ডারাইজেশন সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় সহযোগিতা চুক্তি।

এছাড়া উভয় দেশের উপকূলীয় অঞ্চল নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা, মানবপাচার প্রতিরোধ, জ্বাল নোট পাচার প্রতিরোধ, সমুদ্র ভিত্তিক ব্লু ইকোনমি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। এসময় ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও সহযোগিতা সংক্রান্ত কয়েকটি চুক্তি/সমঝোতা স্মারক সই হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এসব চুক্তি সইয়ের ফলে আঞ্চলিক আন্তঃসংযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, সফরের সময়ে নরেন্দ্র মোদি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা গ্রহণ করবেন। মোদী সফরের সময় কলকাতা-আগরতলা বাস সার্ভিস ও ঢাকা- শিলং-গুয়াহাটি বাস সার্ভিসের সূচনা হবে। এছাড়া খুলনা-মংলা রেলওয়ে লাইন এবং কুলাউড়া-শাহাবাজপুর রেল সংযোগ পুনর্বহাল, শিলাইদহের কুঠির বাড়িতে রবীন্দ্র ভবন, শারদা পুলিশ একাডেমিতে একটি মৈত্রী ভবন নির্মাণ, ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টটিটিউশনের একটি পরীক্ষাগার ও একটি একটি বর্ডার হাটের উদ্ভোধন করবেন।
নরেন্দ্র মোদি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top