সকল মেনু

দিনাজপুরে পুঁজি সংকট আর বীপণনের অভাবে ধংসের দ্বারপ্রান্তে পাঁপড় শিল্প

unnamed বেলাল উদ্দিন, দিনাজপুরঃ পাঁপড় একটি খাদ্য শিল্প, ডালের মন্ড ও নানা রকম সুগন্ধ মসলা দিয়ে তৈরী করা হয়। পাঁপড় শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় হয়ে উঠে লভোনীয় আকর্ষনীয় দৃষ্টি নন্দন ও মুখরোচক নাস্তা। এ পাঁপড় শিল্পের সাথে মিশে আছে উপ-মহাদেশের প্রয় ৫শত বছরের ইতিহাস। কিন্তু পুঁজি সংকট, প্রশিক্ষণ আর বীপণনের অভাবে দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী পাঁপড় শিল্প ধংসের দ্বাড় প্রান্তে পৌছিয়েছে। বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক। আর ঋণে-ঋণে জ্জরিত মহাজনরা পুজি সংকটের কারণে পাঁপড় ছেড়ে অন্য ব্যবসা খুজছে।

দিনাজপুরের মুগ ডালের পাপড়ের কথা শুনলেই কার জ্বিবে না জল আসে। পাঁপড় মূখোরচক একটি খাদ্য। উপ মহাদেশের স¤্রাট, রাজা ও মহারাজাদের খাদ্য তালিকায় পাঁপড়ের নাম পাওয়া যায়। স¤্রাট আকবোর থেকে আরাম্ভো করে শীবাজিরাও, টিপু সুলতান কিংবা মহারানা প্রতাপ এবং নওবাব সিরাজুলদ্দৌলা ও রানি ভেক্টোরিয়ার খাদ্য তালিকায় পাঁপড়ের নাম পাওয়া যায়। কিন্তু আজ সরকারের অবহেলা, আর্থিক সংকট ও প্রশিক্ষণের অভাবের কারণে পাঁপড় প্রায় বিলুপ্তির পথে। দিনাজপুর শহরের চকবাজারের পাপড় ব্যবসায়ী ওম প্রকাশ জানান, ব্যাংকে ঋণ নিতে মর্গেজ দিতে হয়, আরো দিতে হয় পার্সেন্টেজ, তাই ঝামেলা এড়াতে মহাজনদের নিকট উচ্চ হারে সুদের টাকা কিংবা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কনোমতে ব্যবসা চালিয়ে যাই। ফলে লাভের ধন টিয়া খেয়ে ফেলে। অন্যদিকে পাঁপড় শ্রমিক তরুনিবালা জানান, ১শ পাঁপড় তৈরীর পর রোদে শুকিয়ে পাওয়া যায় মাত্র ১২ টাকা মজুরী। সারাদিন ৫-৬শ পাপড় তৈরী করে ১জন শ্রমিক পায় ৫০ হতে ৬০ টাকা। তাই এ কাজে তাদের পর্তা হয়না। এ কাজ বাদ দিয়ে তারা শপিং ব্যাগ তৈরী কাজে ঝুকেছে। পাঁপড় শ্রমিকরা সবাই মহিলা। এই কাজের সংঙ্গে যুক্ত ২হাজার মহিলার মধ্যে এখন ৫০ জনকেও খুজে পাওয়া যায়না। পাঁপড় ব্যবসায়ী জগদীশ রানা বলেন, তাদের উৎপাদিত পাঁপড় বিত্রি করতে কনো সরকারী ব্যবস্থা নাই। ফলে কমদামে দালালের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয় তারা। সাধারণ পাঁপড় ৮০/৯০ টাকা কেজী দরে বিক্রি করতে হয়। অথচ দিনাজপুরের পাঁপড় ঢাকা অথবা চট্রোগ্রামে ৪ থেকে সাড়ে ৪শত টাকা কেজী দরে বিক্রি হয়। সারাদেশে পাঁপড়ের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। দিনাজপুরে নানা প্রকার ডাল দিয়ে পাঁপড় তৈরী করা হলেও মুগ ডালের পাঁপড় খুবই মুখোরচক, সূ-স্বাদু ও দামি। ভারতের বিহার, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশের উৎপাদিত পাঁপড় বিদেশে রফতানী করা হলেও বাংলাদেশে পাঁপড় এখন বিলুপ্তের পথে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top