সকল মেনু

রমজানের আগেই বেড়েছে মাছ মাংস ও পেঁয়াজের দাম

daily-food20150417122533নিজস্ব প্রতিবেদক : এখনও রমজান আসতে প্রায় এক মাস বাকি। কিন্ত রমজান মাস শুরুর আগেই বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজ বেড়েছে ৪ থেকে ৬ টাকা। মাছ, মাংসের দামও ঊর্ধ্বগতি। অতিরিক্ত দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি।
পেঁয়াজের চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরও অগ্রিম মজুদ প্রবণতার জেরে দর বেড়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। ক্রেতাদের অভিযোগ সরবারহ বেশি থাকা সত্তেও বেশি দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। মাছ, মাংস, সবজি, পেঁয়াজ সবধরণের পণ্যই গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে।
চাহিদা বেশি থাকায় কেজিতে ২০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে মাছের দাম বলছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার রাজধানীর মুগদা, হাতিরপুল, খিলগাঁও, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারে মাছ, মাংস, পেঁয়াজ ও সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। তারপরও ক্রেতাদের আগের বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে বেশিরভাগ খাদ্যপণ্য।
বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩৮-৪২ টাকা দরে। চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৫০ টাকা দরে। ভারতীয় পেঁয়াজও কেজি প্রতি ৩-৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি সাদা আলু ১৮-২০ ও লাল আলু ২০-২২ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করলা ২৪-৩০ টাকা, পটল ৪০-৪৬ টাকা, ঝিঙ্গে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৬-৪০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, মূলা ২০-২৪ টাকা, শশা ৩০-৩২ টাকা, পেঁপে ২৪-২৮ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার পিচ ১৫-২০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৬-৪০ টাকা, কচুরলতি ৪০-৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২৪-৩২ টাকা, লেবু প্রতি হালি প্রকার বেধে ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি করছে।
প্রতি আঁটি লাউ শাক ১৫-২০ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ১৫ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্যাপসিকাম আকারভেদে প্রতিটি ২০-৩৫ টাকা ও ব্রোকলি প্রতিটি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রকারভেদে কেজি প্রতি দেশি রসুন ৯৬-১০০ টাকা, মোটা রসুন ৯০-৯৫ টাকা ও এক দানা রসুন ১৬০ টাকা, আদা ১১০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসর বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৩৮০- ৪০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি ৫৮০-৬০০ টাকায়।
কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায় ও লেয়ার ১৭০ টাকা, কক মুরগি ২২০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৩০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দামও গত সপ্তাহের দামে অপরিবর্তিত রয়েছে। ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ২৮-৩০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৪২-৪৪ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪২-৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর খুচরা মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে বেশিরভাগ মাছের দম।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি রুই দেশি ৩০০-৩৫০ টাকা, কাতলা ৩২০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২৫০, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকার বেধে ৬০০-১২০০ টাকা, পুঁটি ২২০-২৫০ টাকা, পোয়া ৪০০-৫০০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, পাবদা ৫৫০-৭০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫৫০ টাকা, শিং আকার বেধে ৫০০-৮০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-২০০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৬০০ গ্রামের ইলিশ মাছ বিক্রি করছে ৭৫০-৯০০ টাকায়।
রাজধানীর খোলাবাজারে লিটার প্রতি বোটলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকায়।
রাজধানীর খুচরা চালের বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৩৫-৩৭ টাকা দরে। নতুন মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকায় এবং পুরাতন চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়। প্রতি কেজি নতুন লতা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকায় এবং পুরাতন লতা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। প্রতি কেজি  মোটা চাল ৩২-৩৩ টাকা, বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২ টাকা কমে নতুন ৪০ টাকা ও পুরাতন ৪২ টাকা। নাজির শাইল প্রতি কেজি ৫০-৫২ টাকা, সুগন্ধ চাল প্রতি কেজি ৭৫-৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আঁতপ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৮ টাকার মধ্যে।

সুগন্ধি চালের মধ্যে কাটারি ভোগ ৭৫ টাকা, কাল জিরা প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top