সকল মেনু

চাঁদপুরে পুলিশ ব্যস্ত অপ্রয়োজনীয় কাজে

unnamed শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: শান্তির জেলা হিসেবে পরিচিত চাঁদপুর’- এ সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেশ খানিকটা অবনতি ঘটেছে। বিশেষ করে চাঁদপুর শহরের পরিস্থিতি দিন দিনই খারাপের দিকে যাচ্ছে। সন্ধ্যা বেলায় জনারণ্যে ডাকাতি, একের পর এক চুরি, অস্ত্রধারীদের মহড়া, পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাই, একের পর এক খুনের ঘটনা পুরো জেলাবাসীকে আতংকিত করে তুলেছে। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভ’মিকা হতাশাব্যাঞ্জক নয়। রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের তদ্বিরে আসা থানার ওসিরা বিশেষ বিশেষ লোকের রাজনৈতিক অভিলাস পূরণ এবং প্রটোকলে ব্যস্ত থাকে। এদের বদলি করা যায় না, এমন কী তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোন ব্যবস্থাও নেয়ার ক্ষমতা পুলিশ সুপারের নেই। ফলে তারা নিজেদের মত করেই কাজ করে।
চাঁদপুর জেলায় পুলিশের থানা রয়েছে মোট  ৮টি। এছাড়া ২ টি তদন্ত কেন্দ্র, ৩ টি ফাঁড়ি ও ৩ টি ক্যাম্প রয়েছে। রয়েছে নৌ-পুলিশের আলাদা ইউনিট। নৌ-পুলিশের অধীনে রয়েছে ৪ টি ফাঁড়ি। একটি রেল থানা ও রেলওয়ের আলাদা নিরাপত্তা বাহিনী। জেলার ২৬ লাখ মানুষের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে একজন এসপি, দু’জন এডিশনাল এসপি, ৪ জন এএসপি, ২৪ জন ইন্সপেক্টর, ৯০ জন সাব-ইন্সপেক্টরসহ সব মিলিয়ে ১ হাজার ১শ’ ২৬ জন পুলিশ সদস্যের পদ। এর ভেতর আবার নৌ-পুলিশের জন্য ৭৫ জনকে প্রেষণে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উল্লেখিত পদের বিপরীতে বদলি, মৃত্যু, অবসর, অসুস্থ্যতা, ছুটিজনিত কারণে শতাধিক পুলিশের পদ বরাবরই খালি থাকে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়মিত কাজে নিয়োজিত থাকে। এই ১ হাজার জনের মধ্যে আবার জেলার বিচার বিভাগ, উর্ধ্বতন প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের দেহরক্ষি, হাউজগার্ড, ওর্ডারলি, জেলখানা ও বিভিন্ন থানা-ফাঁড়ি থেকে কোর্টে পাঠানো আসামিদের নিরাপত্তা, প্রতি থানা-ফাঁড়ির জন্য সেন্ট্রি ডিউটি, ডাক ডিউটি, মুন্সীর কাজ করার জন্য প্রায় দেড়শ’ পুলিশকে নিয়োজিত থাকতে হয়। এর বাইরে প্রায় ৫০০ পুলিশকে পুলিশ লাইনে রিজার্ভ রাখতে হয়। এসব বাদ দিলে প্রকৃতপক্ষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে সর্বোচচ ২শ’৫০ জন। এই আড়াইশ’ পুলিশের মধ্যে আবার একটা অংশকে পুলিশ লাইন থেকে রিজার্ভ পুলিশ এনে মন্ত্রী, এমপি, সচিব, রাষ্ট্রদূত, উর্ধ্বতন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ আগত ভিআইপিদের প্রটোকল দিতে হয়। একটি অংশকে আবার ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে হয়। আর হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচি থাকলে তো কোন কথাই থাকে না। সারাক্ষণ স্পটে স্পটে ডিউটি করতে হয় ৫/৭ জন করে।এ অবস্থাতে সাধারণ মানুষের পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সেবা পাবার সুযোই থাকছে না। যে অল্পসংখ্যক পুলিশ সদস্য থানা-ফাঁড়ি-ক্যাম্প বা তদন্ত কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকে তাদের বড় অংশই আবার অনৈতিক আর্থিক সুযোগ নেবার জন্য ব্যস্ত থাকে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে তাদের সামনে কোন অপরাধ সংঘটিত হতে থাকলেও তারা সে দিকে তাকায়ও না। ফলে জেলা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন ভেঙ্গে পড়ছে। মানুষ এখন পুলিশ ও প্রশাসনের উপর বিরক্ত। তারা বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হলেও পুলিশের কাছে যেতে চায় না। কারণ পুলিশের কাছে যেয়ে প্রতিকারের বদলে মিলে হয়রাণী ও দুর্ব্যবহার।
চাঁদপুর জেলায় গত পাঁচ মাসে একাধিক বিভিন্ন জঘন্য অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার অধিকাংশেরই কোন কুল কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। যেমন জানুয়ারির শুরু থেকে মার্চের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ে চাঁদপুর জেলায় অন্তত ৫ জনকে পেট্রল বোমা মেরে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। একটি মামলায়ও অভিযোগপত্র দাখিল, প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করা যায় নি। এরপর এখন শুরু হয়েছে গণহারে চুরি এবং ডাকাতি। গত ১৯ মে দিবাগত রাতে শাহরাস্তি উপজেলার আয়নাতলী গ্রামের দক্ষিণ পাড়া মাদ্রাসা বাড়ির মৃত সৈয়দ আহম্মেদ শেখের পুত্র শেখ মাহবুব আলমের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। শেখ মাহবুব আলমের স্ত্রী শামছুন্নাহার (৪৫) জানায়, রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটের সময় আমরা সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমে থাকাবস্থায় একদল ডাকাত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আমাকে জাগায়। তাৎক্ষণিক আমি জেগে উঠে দেখি আমার গায়ের উপর চাপাতি, দা, ছেনি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। আমাকে বলে তোর ঘরে কি কি জিনিস আছে তাড়াতাড়ি আমাদেরকে বের করে দে, তা না হলে তোকে ও তোর মেয়েকে খুন করে সব নিয়ে যাবো। এরপর শামছুন্নাহারের কানে থাকা দুল ও কানের জিনিস ও ৪টি আংটিসহ ২ ভরি ওজনের সোনার জিনিস সে খুলে দেয়। পরে তাদেরকে হাত, পা ও মুখে কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর তাদের স্টিলের আলমারির লকার ভেঙ্গে নগদ ২০ হাজার টাকা, ২টি স্যামসং গ্যালাক্সি মোবাইল সেট, ২টি কালো টর্চ লাইট, মূল্যবান জিনিসপত্রসহ ডাকাত দল প্রায় ১ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়া একই গ্রামের সোনাগাজি বাড়ির মৃত আতর মিয়া পাটওয়ারীর ছেলে মোঃ ছফি উল্যা পাটওয়ারীর ঘরে সিঁধ কেটে ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরে থাকা নগদ ৮শ’ টাকা ও ১টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
গত ১৭ মে গভীর রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার এখলাছপুর হাজী বাড়ির হারুনুর রশিদের বাড়িতে ডাকাত দল ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে নিজেদের পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে সবাইকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ফেলে। ঘরে থাকা লোকজনের হাত পা ও মুখ বেঁধে ঘর থেকে ৬ ভরি সোনা, নগদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা, ২টি দামি মোবাইল, ২টি লাইট লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। ওই রাতেই ডাকাতরা প্রবাসী সৈয়দ আহমদের ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে একই পদ্ধতিতে জিম্মি করে নগদ ৩০ হাজার টাকা, ৩ ভরি সোনা, ২টি টর্চ লাইট নিয়ে যায়। এছাড়া এসব ঘটনার ১০/১৫ দিন আগে ওই এলাকার নোয়া বাড়ির মুন্সী বাড়ির এ কে এম আশ্রাফ রহমান হিরণের ঘরে প্রবেশ করে ডাকাতরা ৪ ভরি সোনা, ২টি মোবাইল, নগদ ৫ হাজার টাকা। পাশের বাড়ির সবুজ মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে ২টি দামি মোবাইল, ২টি টর্চ লাইট, বেপারী বাড়ির রিপন মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে ২টি মোবাইল, হাজী বাড়ির মান্নান মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে নগদ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
গত ১৯ মে মধ্যরাতে কচুয়া উপজেলার চাংপুর গ্রামে সাবেক ইউপি মেম্বার দেলোয়ার হোসেন ওরফে দারোগা আলী ও হারুনুর রশিদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দল দুটি ঘর থেকে নগদ টাকাসহ প্রায় ৩৫লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নেয় বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর দাবি।  ডাকাতদের হামলায় গৃহকর্তা দেলোয়ার হোসেন মেম্বার (৫০), তার ছেলে কাউছার (২৫) ও মেয়ে জেসমিন আক্তার (২৩) গুরুতর আহত হয়।
গত ১৭ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭’টার দিকে চাঁদপুর শহরের ঘনবসতি এরাকা হিসেবে পরিচিত নাজিরপাড়ার ছৈযাল বাড়ি রোডের ‘নূরজাহান ভিলা’য় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ফ্ল্যাট বাড়ির দ্বিতীয় তলায় কলিং বেল টিপে ৭/ ৮ জনের একজন সশস্ত্র ডাকাত ঘরের ভেতর প্রবেশ করে সবার হাত-পা, মুখ-চোখ বেঁধে, আট মাস বয়সি একটি শিশুর গলায় ছুরি উঁচিয়ে ধরে নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ৬ ভরির মত সোনার অলংকার নিয়ে যায়। এর মাত্র ২/৩ দিন আগে চাঁদপুর শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল লাগোয়া ‘জি এম টাওয়ার’ এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। চোর ওই টাওয়ারের গুদামের তালা ভেঙ্গে প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। গত ১৯ মে রাতে একযোগে চাঁদপুর শহরের পাঁচটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব দোকান থেকে চোরের দল কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে।
একই দিন দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঁদপুর শহরের স্ট্যান্ড রোড এলাকায় স্কুল ছাত্রী বোনকে বখাটে কর্তৃক ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় ভাইকে কুপিয়ে রত্তাক্ত জখম করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় আহত ভাই শাকিল (১৯)-কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল রেফার করা হয়েছে।
আহতের পরিবার জানায়, স্ট্যান্ড রোডের আলী আকবরের মেয়ে লেডী প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী স্কুলে যাবার সময় তাকে কুলিবাগান এলাকার আরব খানের ছেলে সানি (১৮) ও মুখলেছ আহম্মেদের ছেলে হৃদয় (১৮) ইভটিজিং করতো। ভাই শাকিল তাদেরকে বাধা দেয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে সুমাইয়াদের বাড়িতে ইভটিজার সানি ও হৃদয়ের পরিবারের লোকজন নিয়ে মিমাংসায় বসে। তারা আর কোনো দিন ইভটিজিং করবে না বলে উপস্থিত সালীশীগদের সামনে স্বীকারোক্তি দেয়ার পরেও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাত সাড়ে ৮টায় স্ট্রান্ড রোড এলাকায় শাকিলকে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাকিলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালের চিকিৎসক জানায়, শাকিলের পিঠ, বুক এবং পেটসহ বিভিন্নস্থানে বেশ কয়েকটি ধাড়ালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে সেলাই করতে না পেরে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। গত মার্চ মাসের শেষ দিকে সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে একসাথে তিন খুনের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে আদালতের ১৪৫ ধারা নোটিশ জারি করতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় মতলব দক্ষিণ থানার দু’পুলিশ আহত হয়েছে। জানা যায়, গত ১৯ মে এস আই দীপক পুলিশ নিয়ে ওই এলাকায় সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলার বাদী হাসনাত বকাউল ও বিবাদী হারুন খানকে ডেকে এনে আদালতের দেয়া ১৪৫ ধারার নোটিশ উভয় পক্ষের মাঝে জারি করে। এ সময় বিবাদী হারুন খান উত্তেজিত হয়ে উঠলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তাৎক্ষণিক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা করলে পুলিশের উপর হামলা করে দৌলতপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র হারুন খান ও তার সহযোগিরা। এক পর্যায়ে পুলিশ আবু সায়েমকে আটক করে হাতকড়া পড়ালে কনস্টেবল দিলীপ কুমার নাথকে আঘাত করে ওই আসামি হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যায়।
এভাবে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আশংকা করা হচ্ছে মানুষের রুদ্র রোষ শেষ পর্যন্ত না আরো বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনার জন্ম দেয়। চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অফিসার হিসেবে গত ২৩ এপ্রিল যোগ দিয়েছেন বগুড়া থেকে আসা ইন্নপেক্টর এ এইচ এনায়েতউদ্দিন। পিপিএম পদকধারী ওই পুলিশ কর্মকর্তা ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেবার পর বিশেষ করে চাঁদপুর শহরের মানুষ প্রত্যাশা করেছিল পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটবে। কিন্তু তিনি যোগ দেবার পর শহরে চুরির ঘটনা বল্গাহীনভাবে বেড়ে গেছে। উপরন্তু (আগে যা ঘটে নি) শহরের উপর সন্ধ্যা বেলায় ডাকাতির ঘটনা পর্যন্ত ঘটে গেছে। এ অবস্থায় মানুষ হতাশ। এসব বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  এ এইচ এনায়েতউদ্দিন পিপিএম বলেন, তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন মানুষকে সেবা দিতে। আসলে ইতিপূর্বে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার ধকল কাটিয়ে উঠতে পুলিশের সময় লাগছে। কারণ তিন মাসের ওই অস্থিরতার সময় পুলিশ তেমন কোন কাজ করতে পারে নি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই পরিস্থিতির অবশ্যই উন্নতি ঘটবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top