সকল মেনু

পাসপোর্ট গ্রাহকের সব রকমের বিড়ম্বনা দূর করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ

 unnamedযশোর প্রতিনিধি: সরকারী সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার  ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সোস্যাল মিডিয়া আড্ডা নামের এক ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান।
গতকাল শনিবার সন্ধার আগে যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক  আবু নোমান এমডি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এন এম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এটু আই প্রকল্পের পরিচালক ও যশোরের সাবেক জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব) আসাদুজ্জামান আসাদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খুলানা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক সাইদুর রহমান, যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মিল্টন হোসেন, পাসপোট অধিদপ্তরের সহকারী সিস্টেম এ্যানালাইসিস নজরুল ইসলাম ভুইয়া, বেসরকারী সেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি, বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা, স্কুল ও কলেজের শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের শতাধিক ব্যক্তি এই আড্ডায় অংশ নেন। বক্তারা সকলেই পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রকে কিভাবে আরো সহজীকরণ করা যায় সে সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, বর্তমান সরকার সব ধরনের সেবা মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই লক্ষ্যে পাসপোর্ট গ্রহিতাদের সেবার মান বৃদ্ধিতে সরকার নাান উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে যে কোন ই- সেবা কেন্দ্র থেকে অন লাইনের মাধ্যমে একজন পাসপোর্ট গ্রহনকারী তার আবেদন পাঠাতে পারবেন। এছাড়া সোনালী ব্যাংকসহ অনুমোদিত ৫টি ব্যাংকের যে কোন শাখা থেকে পাসপোর্টের আবেদন ফি প্রদান করা যাবে। এছাড়া পাসপোর্টের পুলিশ বেরিফিকেশন কিভাবে আরো সহজীকরণ করা যায় সে বিষয়েও কাজ শুরু হয়েছে। তিনি পাসপোর্ট গ্রহণকারীর সব রকমের বিড়ম্বনা দূর করার বিষয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এটু আই প্রকল্পের পরিচালক ও যশোরের সাবেক জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান, বলেন, পাসপোর্ট একজন নাগরিকের অধিকার। এক সময় একটি পাসপোর্ট হাতে পেতে একজন নাগরিককে নানা রকমের বিড়ম্বনার শিকার হতে হেতা। তার পরও সময় মতো পাসপোর্টটি তারা হাতে পেতেন না। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছ্ েএখন অন লাইনের মাধ্যমে অনেক কাজ সহজে করা যায়। কিন্তু প্রচার প্রচারণার অভাবে অনেকে সে সব বিষয় ঠিক মতো জানে না। ফলে  এখনো অনেকে নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। সরকার এসব বিড়ম্বনা দূর করে কিভাবে একজন গ্রাহক খুব সহজে ঘরে বসে পাসপোর্টটি হাতে পেতে পারেন সে বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে। এর জন্য জনগণের সাহায্যোর প্রয়োজনীয়তা তিনি তুলে ধরেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top