সকল মেনু

সৈয়দপুর অফিসার্স কলোনী বকুল ফুলে সুবাসিত

unnamed মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ১৬ মে: ফুলের নাম বকুল। নাম ও গন্ধই বলে দেয় ফুলের নাম।  যে কোন পথচারী হেঁটে গেলে নাকে সৌরভ লাগে। প্রয়োজন না থাকলেও অনেকেই সেই পথেই হাঁটেন। নীলফামারীর সৈয়দপুরের অফিসার্স কলোনী এলাকার পথ দিয়ে গেলে এরকম সুগন্ধি মানুষকে বিমোহিত করে। কারণ এই পথে রয়েছে বেশ কয়েকটি বকুল ফুলের গাছ। আর সেই গাছে শোভা পাচ্ছে সাদা বকুল ফুল। দিনের বেলা ঘ্রান কিছুটা কম মনে হলেও বিকেলের পর এই ফুলের ঘ্রাণ অনেকদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে শহর সৈয়দপুর। রেলওয়ে কারখানার বড় বড় অফিসাররা থাকতেন এই এলাকায়। ফলে এলাকাটির নামকরণ করা হয়েছে অফিসার্স কলোনী। ইংরেজ সাহেবরাই এই বকুল ফুলের চারা রোপন করেছিলেন বলে মনে করেন। যা আজ আস্তে আস্তে এলাকাটিতে বিস্তৃতি ঘটেছে।
শিশু-কিশোররা প্রত্যুষে বকুল গাছের তলা থেকে ফুল সংগ্রহ করে এবং একটা একটা ফুল করে সুই-সুতোয় গেঁথে মালা তৈরি করে। এই মালার চাহিদা নারী-পুরুষ সকলের কাছেই সমান। বিক্রি করেন সকাল-বিকেল শহরের জনবহুল এলাকায় মাত্র ৫ টাকায়। কেউবা গাছের মালিকের কাছে চেয়ে অথবা সামান্য কিছু অর্থ দিয়ে তুলে আনেন গাছের বকুল ফুল। এখানকার বাঙালি-বিহারী পরিবারের বিয়ে-শাদী, বাসর ঘর সাজানো প্রভৃতি সামাজিক অনুষ্ঠানে এই বকুল ফুল ব্যবহার করেন। হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছেও পুজা-পার্বনে এই ফুলের কদর রয়েছে।
এই ফুলের সুগন্ধ মানুষের মনে অন্যরকম শিহরণ জাগায়। নবীজীর কথায় যদি জুটো দুটি পয়সা ফুল কিনে নিও’। আর গানের কথায় ফুল যে ভালবাসেনা সে নাকি মানুষ ঘুন করতে পারে। কবিতা- গল্পে উপমায় এসেছে বকুল ফুলের কথা। এ কারণে সকল মানুষের কাছে ফুল সমান প্রিয়। আর বকুল ফুলের সুগন্ধির জুড়ি মেলা ভার। ওই নামে অনেকেই দোকানে পারফিউম খোঁজেন। লোকজন বকুলের সুগন্ধি ভালবাসেন বলে শহরের রেলওয়ে অফিসার্স কলোনীর ওই সড়কে নিয়মিত চলাচল করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top