রংপুর ব্যুরো: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুই ঘাতককে গ্রেফতার করেছে । ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের চর তালপট্টি গ্রামে। শুক্রবার পুলিশ বাঁশঝাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করে।গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি এমএ মান্নান জানান, মর্ণেয়া ইউনিয়নের চর তালপট্টি গ্রামের দিনমজুর আইয়ুব আলীর মেয়ে ও স্থানীয় আনন্দ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শাহিনা খাতুনকে (১২) একই গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে আবুজার রহমান দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের প্রস্তাবসহ উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

শাহিনা কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আবুজার দীর্ঘদিন থেকে তার ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজছিল। বৃহস্পতিবার রাতে শাহিনার মা-বাবা পারিবারিক কাজে বাড়ির বাইরে যান। তাদের অনুপস্থিতিতে একই এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে নজির হোসেন শাহিনাকে আবুজারের পরামর্শে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসে। এরপর আগে থেকে ওত পেতে থাকা আবুজার শাহিনার মুখে ওড়না পেচিয়ে পাশের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি যাতে শাহিনার পরিবার জানতে না পারে তাই পরিকল্পিতভাবে শাহিনার হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে আবুজার ও নাজির।

শাহিনার মা-বাবা রাতে বাড়িতে ফিরে শাহিনাকে দেখতে না পেয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। খোঁজা-খুঁজির এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শাহিনার মৃতদেহ দেখতে পায়। বিষয়টি স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ গতকাল শাহিনার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আবুজার ও নাজির হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার  করে। নিহত শাহিনার পিতা আইয়ুব আলী জানান, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আমি হত্যার বিচার চাই।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি এমএ মান্নান আরো জানান, এ ঘটনার সাথে আরো কারা জড়িত তাদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের বাবা আইয়ুব আলী বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি । তিনি জানান গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তা প্রকাশ করছে না।