সকল মেনু

সৈয়দপুরে রাতে মশা দিনে মাছির উপদ্রুব

unnamedমো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ১৫ মে: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় ডোবা-নালা পরিস্কার না করায় এবং নিয়মিতভাবে ওষুধ স্প্রে না করায় মশা-মাছির উপদ্রুব আশংকাজনকভাবে বেড়েছে। ফলে দিনে মাছি আর রাতে মশার জ্বালায় ঘুমাতে পারছেন না। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চরম বেকায়দায় পড়েছে। এছাড়া মশা-মাছির কারণে নানা রোগব্যধি ছড়িয়ে পড়ছে। শহরের হাতিখানা সড়কের ডোবাটি দীর্ঘদিন ধরে পরিস্কার না করায় শুকরের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ফলে এই পথে লোকজনের চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। পৌর এলাকার মিস্ত্রিপাড়া আবাসিক এলাকার পাশে ডোবা-নালা নিয়মিত পরিস্কার না করার ফলে কঢ়ুরিপনায় ভরে গেছে ডোবা। সেখানে মশা ও মাছির প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। একই অবস্থা হয়েছে শহরের মুন্সিপাড়া খেঁজুরবাগ এলাকার ডোবাতেও। পর্যাপ্ত ডাষ্টবিনের অভাবে আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা ময়লা- আবর্জনা যত্রতত্র ফেলায় মশা-মাছির বিস্তার ঘটে চলেছে। ওষুধ স্প্রে করার ফগার মেশিন থাকলেও চালকের অভাবে সেটি সেটি দিয়ে নিয়মিত ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। অপরিকল্পিত ড্রেনের কারণে পানি দ্রুত না কাটায় সেই জলাবদ্ধতায় মশা-মাছি বংস বিস্তার করে চলেছে।সূত্র জানায়, প্রথম শ্রেনীর সৈয়দপুর পৌরসভায় সরকারি বরাদ্দ কম থাকায় ট্যাক্সের টাকায় পৌরসভার সকল কার্যক্রম চলছে। ফলে পৌরসভার নাগরিকরা অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সৈয়দপুর পৌরসভা প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা পেলেও বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে অনেক কম, অথচ নীলফামারী পৌরসভার এলাকা ও জনসংখ্যা কম হওয়া সত্বেও সেখানে বরাদ্দ মিলেছে সৈয়দপুর পৌরসভার চেয়ে কয়েকগুণ। তবে বর্তমান পরিষদের আমলে স্থানীয় রাজস্ব আয় দিয়ে কর্মকর্তা- কর্মচারিদের বেতন পরিশোধসহ বেশ কয়েকটি ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এ কর্মসূচির আওতায় শহরের প্রাণ কেন্দ্রগুলোতে তিন টাইম পরিচ্ছন্ন কর্মী কাজ করছে। পৌরসভার নিজস্ব অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে একটি আবর্জনা বহনকারী পিকআপ। একই সাথে আরও একটি পিকআপ মেরামত করে সেটিকেও কাজে লাগানো হয়েছে। পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে রোড স্ট্রীট শোভা পাচ্ছে। পৌরবাসীকে মশা ও মাছির উপদ্রুব থেকে বাঁচাতে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানো হয়েছে এবং ঝোপঝাড় পরিস্কার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছে পৌরসভার বৃত্তি প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রয়েছে। সরকারি বরাদ্দ কম থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মেরামত বা সংস্কারসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার। তিনি বলেন, এরই মধ্যে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করে নাগরিকদের চলাচল নির্বিঘœ করা হয়েছে। বরাদ্দ ও জনবল সঙ্কটে পৌরসভার নাগরিকদের অনেক সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। পৌরবাসী সহযোগিতা করলে এই সমস্যাগুলো কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top