সকল মেনু

সৈয়দপুরে বোরোর বাম্পার ফলন: ধানের দামে হতাশ কৃষক

unnamed মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ১০ মে: নীলফামারীর সৈয়দপুরের ৫টি ইউনিয়নে বোরোর বাম্পাার ফলন হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। ধানের দরপতন কেড়ে নিয়েছে তাদের হাসি। চলতি মৌসুমে প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে সৈয়দপুরে এবার বোরোর ফলন রেকর্ড ছাড়িয়েছে। উপজেলার সর্বত্র এখন ধান কাটা- মাড়াইয়ের ধুম। সেই সাথে শ্রমিকের মজুরী ও সাংসারিক প্রয়োজনে নতুন ধান হাটেবাজারে বিক্রিও চলছে ধুমছে। কিন্ত ধানের দরপতনে কৃষকরা বেসামাল হয়ে পড়েছেন। প্রতিবস্তা (৭৫ কেজি) ধান মাত্র ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে এক কেজি ধানের বর্তমান বাজার মূল্য হচ্ছে ১০ টাকা। এতে করে কৃষককে প্রতিকেজি ধানে লোকসান গুণতে হচ্ছে ২ টাকা ৬৮ পয়সা।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, বীজ বপন থেকে শুরু করে ধান ঘরে তুলতে প্রতিবিঘা জমিতে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। সেই হিসাবে এককেজি ধান উৎপাদনে এবছর ব্যয় হয়েছে ১২ টাকা ৬৮ পয়সা। গেল বছর বোরো উৎপাদন করে কৃষকরা লাভবান হলেও এবছর লাভতো দূরের কথা আসল খরচ উঠছে না। চাষি আমিনুরের মতে, চাষিরা ধানের বাজার মূল্য না পেলে ফসল ফলানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এতে করে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার এদেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
কৃষি বিভাগ জানায়, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেযায় সৈয়দপুরে এবছর বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে এবার বোরো আবাদ করা হয়েছে। প্রায় ৬৬ হাজার বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে বোরো ধানের। ফলনও হয়েছে আশাতীত। ধানের দরপতনে কৃষকরা মনে ১৫০ টাকা লোকসান হলেও চাল ব্যবসায়ীদের মনে লাভ হচ্ছে ২শ’ টাকার মতে। এতে করে মুনাফার বড় অংশ মিল মালিক আর চাল ব্যবসায়েিদর পকেটে যাচ্ছে। আর লোকসানের বোঝা নিয়ে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top