সকল মেনু

বিদ্যালয় নয়,হাসপাতাল চাই

index গৌরাঙ্গ লাল দাস,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: আমাদের গ্রামে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি ভাবে, অপরটি একটি বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের অত্র অঞ্চলের সাধারণ জনগণের জন্য  স্বাস্থ্য সেবার কোন ব্যবস্থা নেই। তাই আমরা এখানে বিদ্যালয় নয়, একটি হাসপাতাল চাই। কথা গুলো বললেন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের লখন্ডা গ্রামের কলেজ ছাত্রী কেয়া ওঝা । কেয়া ওঝার মতো একই দাবী ওই গ্রামের অধিকাংশ জনগণের। অপরদিকে কিছু জনগণ হাসপাতাল নির্মানের স্থানে বিদ্যালয় নির্মান করতে চাচ্ছেন। এ নিয়ে ওই এলাকার জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দুই পক্ষের জনগণের উদ্দেশ্য মহৎ হলেও যে কোন সময় এরা সংঘর্ষে জড়িয়ে যেতে পারে।
সরেজমিনে জানাগেছে, লখন্ডা গ্রামের মতিলাল ওঝার ছেলে বিশ্বজিৎ ওঝা ১৯৯১ সালে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করেন। তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে একই এলাকার সখীচরন ওঝার ছেলে  জগদীশ ওঝা ১৫ নং রামশীল লখন্ডা মৌজার এস এ ১২১ দাগের ৬৭৬ খতিয়ানের ৩০ শতাংশ জায়গা বিদ্যালয়ের নামে দান  করে দেন। এই বিদ্যালয়টির তিন দিকে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকার কারনে এখানে ছাত্র ছাত্রীর সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টির অনুমোদন না দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালে জগদীশ ওঝা ও তার দুই ভাই মিলে ওই দাগের সম্পূর্ন জায়গা একই গ্রামের রমেশ চন্দ্র ওঝার ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র ওঝাকে দলিল করে দেয়। জায়গা ক্রয়ের পরে কৃষ্ণ ওঝা ওই জায়গায় লখন্ডা হরিনাম কীর্ত্তন সংঘের একটি অফিস ঘর নির্মান করেন।
কৃষ্ণ চন্দ্র ওঝা বলেন, লখন্ডা হরিনাম কীর্ত্তন সংঘের অফিস ঘরটি নির্মানের পরে যে জায়গা রয়েছে এলাকার জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী  আমি সেই জায়গায় উপরে একটি হাসপাতাল নির্মান করার সিন্ধান্ত নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি হাসপাতাল নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এলাকার যুবক লিটুল ওঝা বলেন,আমরা যে স্থানে হাসপাতাল নির্মানের দাবী জানাচ্ছি তার মাত্র ৫শত গজ পশ্চিমে লখন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। দক্ষিন-পূর্ব কর্নারে ৬ থেকে ৭শত গজ দুরে লখন্ডা তুলশীবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। পূর্ব পাশে একটি সংস্থা পরিচালিত আলোশিখা প্রাথমিক বিদ্যালয়। অপরদিকে আমাদের এখান থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সে ক্ষেত্রে আমাদের দাবী এখানে একটা হাসপাতাল নির্মান করা হোক।
উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন,উভয় পক্ষের উদ্দেশ্যই মহৎ। তবে এলাকার জনগনের সাথে আলাপ করে অধিকাংশ জনগন যেটা চাবে তাহাই করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top