সকল মেনু

ফ্রি ওয়াই ফাই জোনে আসবে রমনা, নিউ মার্কেট…

অনলাইনkhokon20150319194621 রিপোর্ট : ঢাকা: সদ্য শেষ হলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন।নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হলেও ভোটের দিন নির্বাচন থেকে বিএনপি সরে যাওয়ায় ভোট নিয়ে বিতর্ক থেকেই যায়।
ঢাকা দক্ষিণে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক মেয়র হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন। এরই মধ্যে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।আগামী বুধবার শপথ নেবেন তিনিসহ অন্য মেয়র প্রার্থীরা।
গতকাল রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসা ‘ফাতেমা হানিফে’ বসে ঢাকা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।ঢাকা দক্ষিণকে সাজাতে এ সময় তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয় উঠে আসে।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তানিম আহমেদ।
সিটি করপোরেশন কি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে?
সাঈদ খোকন: সিটি করপোরেশনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ প্রতিষ্ঠান সব সময় ঢাকাবাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে বলে মনে করেন কি?
সাঈদ খোকন: সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। এখন থেকে আমার প্রয়াত পিতা মোহাম্মদ হানিফ যেভাবে মানুষের জন্য সুখে-দুঃখে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। আমিও বাবার মতো মানুষর সুখে দুঃখে নিজেকে উৎসর্গ করবো।
ঢাকার অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট, এই সমস্য সমাধানে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
সাঈদ খোকন: যানজট নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের আলাদা একটা বিভাগ আছে। যেটা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে। ওটা এখন নিষ্ক্রিয় আছে। আমরা সেটা সক্রিয় করবো।
সেই বিভাগটা নিষ্ক্রিয় কেন?
সাঈদ খোকন: কারণ এতদিন সেখানে প্রশাসক নিয়োগ ছিল সে কারণে হয়তো নিষ্ক্রিয় আছে। কারণ তারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নয়। নির্বাচিত হলে জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা থাকতো।
নিরাপত্তাহীন ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দেয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
সাঈদ খোকন: এটা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। কিন্তু তারপরও একজন মেয়র হিসাবে আমার যে দায়িত্ব আমি সেটা পালন করবো। মেয়রদের যে বোর্ড সভা হয় সেখানে অনেক বিভাগের প্রধান উপস্থিত থাকেন। সেখানে বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে। সেখানে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে দ্রুত সামাধানের তাগিদ দেওয়া হবে।
দায়িত্ব নেয়ার পর কোন বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন?
সাঈদ খোকন: প্রথমে আমি ঠিক করেছি সিটি করপোরেশন যে সকল কাজ সরাসরি করতে পারবে আমরা সেগুলো করবো। যেমন ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা, সড়ক বাতি ঠিক করা, ভাঙ্গা রাস্তা সেবাখাত সমূহকে ঠিক করা। সিটি করপোরেশনের অধীনে তিনটি হাসপাতাল আছে সেগুলোর সেবার মান বৃদ্ধি করা। এগুলো আমরা কারো জন্য অপেক্ষা বা পরামর্শ নিয়ে করতে হবে না। এটা সিটি করপোরেশানে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে হবে। এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। ঢাকার কিছু সার্ভিস এলাকা আমরা ফ্রি ওয়াই ফাই জোন করবো। সেটা আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই করবো।
নগরীর কোন কোন এলাকা ফ্রি ওয়াই ফাই জোন করা হবে?
সাঈদ খোকন: প্রাথমিকভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে তার সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে প্রাথমিকভাবে কিছু এলাকা বাচাই করেছি। সেগুলো হলো রমনা পার্ক, নিউ মার্কেট, গুলিস্থান বাস টার্মিনাল, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা। এসব এলাকায় হাই পাওয়ার রাউটার বসিয়ে ফ্রি ওয়াই ফাই জোন করা হবে।
আপনার ইশতেহারে যে পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছেন সেগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করবেন?
সাঈদ খোকন: যানজটের বিষয়ে আমি আগেই বলেছি। বুড়িগঙ্গার বিষয়ে আমি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে একটি বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করবো। জলবদ্ধতা নিরসনে আমরা ঢাকা ওয়াসার সাথে বসে একটি কর্মপরিকল্পনা ঠিক করবো।
নগর সরকার নিয়ে পরিকল্পনা কি?
সাঈদ খোকন: সেটা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে কথা বলতে হবে। প্রথমে হয়তো আমরা একটা সমন্বয় টিম করা যেতে পারে।
আপনি পাঁচবছরে কোন  চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে কিনা?
সাঈদ খোকন: বাধাতো সব জায়গায়ই হতে পারে। সে বাধা অতিক্রম করেই আমাদের কাজ করতে হবে।
কোন কোন থাতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারেন?
সাঈদ খোকন: যেমন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সম্মুখীন হতে পারি। সিটি করপোরেশনের কিছু বিষয় আছে যেগুলোতে আমলাতান্ত্রিক বিষয় থাকে। আর আমাদের সেই বিষয়গুলোকে ওভারকাম করেই এগিয়ে আসতে হবে।
নগর ভবনে দলীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে আপনি বিভিন্ন সময়ে বলেছেন নির্বাচিত হলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নিয়ে কাজ করবেন?

সাঈদ খোকন: ইনশাআল্লাহ্ আমি আমার চাচী মাকে (আফরোজা আব্বাস) নিয়ে কাজ করবো। ওনার স্বামী (মির্জা আব্বাস) বাবার সঙ্গে রাজনীতি করতেন। ওনাকে আমি সম্মান করি। এই সম্মানটা সব সময় থাকবে। আমি তাদেরই সন্তান। যে কোনো প্রয়োজনে তাদের পরামার্শ নেবো।
জয়-পরাজয় আছে, তবে সম্মানের জায়গাটা থাকবে। কারণ ঢাকার জনতার মেয়র আমি। আমার ভবিষ্যৎ কাজের জন্য মির্জা আব্বাসের দোয়া ও পরামর্শ লাগবে। তাই ওনাকে প্রয়োজনে আমি ডাকবো। আলাপ-আলোচনা করবো। সিনিয়র সিটিজেনদের সবাইকেই আমি ডাকবো।
আপনি একটি দলের সমর্থন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। দল নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবেন কীভাবে?
সাঈদ খোকন: এই প্রশ্নের পর আমার বাবার কথা মনে পড়ছে। তার নির্বাচনের ওয়াদা ছিল সিটি কপোরেশনকে দলীয়করণ মুক্ত করবেন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। অন্যদিকে, আমি একটি দলের হয়ে নির্বাচিত হয়েছি। আমার কাছে দলের নেতাকর্মীরা আসতেই পারে। আমার কাছে আসার অর্থই যে তারা কোন প্রভাব বিস্তার করবে এমন নয়।
বিভিন্ন সময় দেখা যায় সিটি করপোরেশন টেন্ডার শিডিউল দিলে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা  করে। সেটা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
সাঈদ খোকন: ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনে অনেক বিভাগেই টেন্ডার অনলাইনে জমা নেওয়া হচ্ছে। বাকি যেগুলো আছে সেগুলো অনলাইনে করার চেষ্টা করবো। তখন সেখানে স্বচ্ছতা চলে আসবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top