যশোর প্রতিনিধি : বন্দর থেকে মালামাল চুরি ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে এবং পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানি বন্ধে এবার বেনাপোল কাষ্টম, চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হযেছে। ইতিমধ্যে শুল্ক কর্তৃপক্ষ তাদের সকল গুরুত্বপুর্ণ স্থাপনায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। ফলে কাষ্টমস হাউস, চেকপোস্ট ও বন্দরের সকল কর্মকান্ড কমিশনারের কঠোর নজরদারীতে এসেছে।
বেনাপোল কাষ্টম হাউসের কমিশনার এএফএম আব্দুল্লাহ খান নুতন যোগদানের পরপরই কাষ্টম ও বন্দরে সকল অনিয়ম বন্ধ করতে বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর ও চেকপোষ্ট এলাকায় ২৫ টি ডিজিটাল ক্যামেরা স্থাপন করেন। ইতিমধ্যে চেকপোস্টে পাসপোর্টদালাল মুক্ত পরিবেশে যাত্রী সাধারণ নির্বিঘেœ ভারতে যাতায়াত করছেন।
তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগে আমদানীকৃত পন্য শুল্ক ফাঁকি রোধে কাস্টম হাউসের সামনে কাস্টম ও বিজিবি যৌথ তল্লাশী কেন্দ্রটিকে রাজ্স্ব বোর্ডের সাথে সরাসরি অনলাইনে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। কাস্টমস কমিশনার ও রাজ্বস্ব বোর্ড সরাসরি বন্দরে রাখা আমদানিকৃত পন্যের নজরদারি করছেন সার্বক্ষনিক। তাছাড়া বন্দর থেকে পন্যবাহী ট্রাক বের হওয়ার পর তার গতিবিধির ওপর নজরদারি করা হচ্ছে।
বেনাপোল কাষ্টম হাউসের কমিশনার এ এফএম আব্দুল্লাহ খান জানান, বন্দর থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পন্য নিয়ে কোন ট্রাক বের হওয়া সম্ভব নয়। রাজ্স্ব ফাঁকি দিয়ে পন্য বোঝাই কোন ট্রাক কাস্টম ও বিজিবির যৌথ চেকপোস্ট পার হতে পারবেনা। তাছাড়া কোন শুল্ক কর্মকর্তা বা সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির কোন অভিযোগ প্রমানিত হলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য ইতোমধ্যে কাস্টমস কম্পাউন্ডে শুল্কায়ন কক্ষে রফতানি গ্রুপ সহ ৫টি শুল্কায়ন গ্রুপের কর্মকান্ড কমিশনার তার নিজ কক্ষে বসে পর্যবেক্ষন করছেন।
বন্দর ব্যবহারকারী র্সববৃহত সংগঠন কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান জানান, রাজস্ব ফাঁকি ও বন্দরে অনিয়ম রোধে র্ কাস্টম কমিশনারের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। যাতে কেউ কাগজপত্র ছাড়া কোন পণ্য চালান বন্দর থেকে বের করতে না পারে সে জন্য বন্দরকে একটি ইউনিফাইড বন্দরে রপান্তরিত করতে হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।