সকল মেনু

কোটচাঁদপুরে সরকারি গাছ বিক্রি সহায়তায় এএসআই আলম মোল্লা

 unnamedএস,আই মল্লিক, ঝিনাইদহ থেকে: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সরকারি খাস জমির প্রায় ২০টি গাছ প্রকাশ্যে কর্তন করে বিক্রি করা হয়েছে। অপরদিকে পুলিশের এএসআই আলম মোল্লার নেপথ্য সহযোগিতায় গাছগুলি বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের ফাজিলপুর চিত্রা নদী এবং কালুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী সরকারি খাস জমিতে লাগানো মেহগনি, জাম ও কড়ই গাছ ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। গাছগুলি ক্রয় করেন এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী আশাদুল ইসলাম ও রেজা। অথচ, সরকারি গাছ বিক্রিতে পুলিশের এএসআই আলম মোল্লা রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা রেখেছেন বলে প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়। অভিযোগ রয়েছে, আলম মোল্লা নিজেই নাকি নিজস্ব লোক দিয়ে গাছগুলি কাটিয়ে বিক্রি করে সম্পূর্ণ টাকা পকেটস্থ করেছেন। অপরদিকে ওই এলাকার পুরাতন সাকোর নিকট ১টি কড়ই গাছ কাটতে গেলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে তা ব্যর্থ হয়। সরেজমিন ফাজিলপুর গ্রামে গেলে এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে কালুখালী স্কুলের পার্শ্ববর্তী প্রায় ২০টি এবং চিত্রা নদীর পাড়ের ১টি মেহগনি গাছ বিক্রি করা হয়েছে। যার মধ্যে নদীপাড়ের কড়ই গাছটি কর্তনের সময় এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে গাছটি বেঁচে যায়। এ ব্যাপারে এএসআই আলম মোল্লার নিকট জানতে চাইলে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘কালুখালী আমাদের উপজেলার ভিতরে নয়, তবে কড়ই গাছটি কাটতে আমরাই বাঁধা দিয়েছি এবং ওইদিনই গাছটির গোড়ায় মাটি দিয়ে এসেছি।’ অথচ, সরেজমিন ওই গাছের নিকট গিয়ে দেখা যায়, গাছটির শেকড়সহ প্রায় অধিকাংশ কর্তন করা হয়েছে। অন্যদিকে ‘পুলিশ ম্যানেজ হয়ে গেছে এবং দু’এক দিনের মধ্যেই ওই গাছটি আবার কেটে ফেলা হবে বলে জানায় এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে গুড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ দাউদ জানান, গত ২৬ এপ্রিল আমি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ডিউটিতে ঢাকায় ছিলাম, বিষয়টি আমার জানা নেই। কোটচাঁদপুর থানার সেকেন্ড অফিসার আশিকুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না, বিষয়টি নিয়ে ওসি স্যারের কাছে জানতে পারেন। অপরদিকে কোটচাঁদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আহমেদ কবীরের মোবাইলে বারবার ফোন করেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবপ্রসাদ পাল বলেন, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ এখনও পর্যন্ত কেউ দেয়নি, এ ধরনের ঘটনায় আমরা সবসময় সোচ্চার রয়েছি। বিষয়টির তদন্ত করা হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top