সকল মেনু

সৈয়দপুর শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র শ্রমিকদের কল্যাণে আসছে না

unnamed মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ০৩ মে : নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রটি শ্রমিকদের কোন কল্যাণে আসছে না। প্রতিমাসে এই প্রতিষ্ঠানের পেছনের সরকারের লাখ লাখ টাকা খরচ হলেও খোদ শ্রমিক নেতারাই জানেনা এখানে শ্রমিকদের কল্যাণে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পর্কে শ্রমিকদের মধ্যে কোন প্রচার -প্রচারণা না থাকায় এ সম্পর্কে কিছুই জানেনা তারা। স্বাধীনতার ৪২ বছর কেনদ্রটি সচল থাকলেও এটি ভবন সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অথচ এই কেন্দ্রে নিয়োজিত কর্মকর্তা- কর্মচারি বসে বসে বেতন গুণছেন বছরের পর বছর। দায়িত্ব পালনে চরম অনিহার কারণে কেন্দ্রটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। শ্রমিক অধ্যুষিত জনপদে শ্রমিকদের কল্যাণে সেই পাকিস্তান আমলে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের ীফ্র চিকিৎসা, পরিবার-পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা, বিনোদন এবং শ্রম আইন সম্পর্কে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা এ প্রতিষ্ঠানের মুল কার্যক্রম। অথচ কল্যাণ কেন্দ্রটিতে এসব কার্যক্রমের কোনটাই সচল নেই। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কমৃকর্তা- কর্মচারিদের কোন কর্ম তৎপরতা না থাকায় কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পর্কে কিছুই জানেন না শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। অভিযোগ রয়েছে ভুয়া নাম ও ঠিকানা দিয়ে শ্রমিক উপস্থিতির দৈনিক রেজিষ্টার সংরক্ষণ করা হয় দপ্তরে। কল্যাণ কেন্দ্রটিতে ৯টি পদের বিপরীতে ৭ জন কর্মকর্তা- কর্মচারি কর্মরত রয়েছে। এই কেন্দ্রের নির্বাহী মেডিকেল অফিসার পদে ৭ বছর ধরে কোন ডাক্তার নিয়োগ দেযা হয়নি। ফলে ডাক্তার শুন্য অবস্থায় চলছে এর কার্যক্রম। বিনোদনের জন্য খেলাধূলা, টিভি, পাঠাগার থাকলেও এসবের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। শ্রম কল্যাণ সংগঠক শাহিনূর ইসলাম কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, কেন্দ্রের সমস্যা সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া আছে। বছরে ১/২টি শ্রমিকদের শ্রম আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তবে শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা এবং এসবের সদস্য সংখ্যা সঠিক বলতে পারেননি তিনি। দপ্তরে পরিসংখ্যানও নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পর্কে নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি কেন্দ্রের নাম শুনেছেন, তবে এরা কি কাজ করে তিনি জানেন না। হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা জয়নুল বলেন, তিনি এই প্রথম কেন্দ্রের নাম শুনলেন। কাজ সম্পর্কে তার ধারণা নেই। সৈয়দপুর লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বাবুল ও ফজলু জানান, শ্রমিকদের নিয়ে ১৫/২০ বছর ধরে কাজ করছেন, কিন্ত ওই নাম তারা কখনো শোনেনি।  কল্যাণ কেন্দ্রটির পেছনে সরকার লাখ লাখ টাকা খরচ করলেও শ্রমিকদের কল্যাণে আসছে না। ফলে সরকারের শ্রম বান্ধব নীতিমালা ভেস্তে যেতে বসেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top