সকল মেনু

পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের ৩৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি বেতন পাচ্ছেন না

index মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ০২ মে: উপ-পরিচালকের স্বজনপ্রীতির কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা দপ্তরের ৩৬ কর্মচারি ২ মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না। কর্মকর্তার বদলী হয়ে যাওয়ার পর অপর কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান না করায় বেতন-ভাতা আটকে গেছে বলে জানা গেছে। ফলে ওইসব কর্মচারিরা পরিবার-পরিজন নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। জানা যায়, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র বদলী হয়েছেন। তার স্থলে সদ্য পদোন্নতি পাওয়া ২য় শ্রেণির সহকারি পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহ আলম চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্ত তার আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় তিনি বেতন-ভাতা বিলে স্বাক্ষর করতে পারছেন না। এতে করে বিল আটকে যাওয়ায় গেল মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতনভাতা এখনো পাননি। বিষয়টি উপ-পরিচালক (আয়-ব্যয়) কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হলেও ২ মাসেও ওই অনুমতি মেলেনি। ফলে ৩ জন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারি, ৬ জন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ২৫ জন পরিবার কল্যাণ সহকারি এবং ১ জন অফিস সহায়ক ২ মাসের বেতন-ভাতা না মেলায় ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছেন। দায়িত্বে থাকা সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহ আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম দায়িত্ব নিতে অপাগতা প্রকাশ করায় তিনি চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। তার আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় বেতন-ভাতা আটকা পড়েছে। এদিকে একাধিক মাঠ কর্মচারীরা অভিযোগ করে জানান, শাহ্ আলম চৌধুরী নীলফামারীতে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (টিএফপিএ) পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় উপ-পরিচালকের অফিসের হিসাব শাখার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। শুধু তাই নয় মাসিক মিটিং এ উপ-পরিচালক শাহ্ আলম চৌধুরীর হাত উঠিয়ে কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সুবাদে সখ্যতা গড়ে উঠে। কর্মরত মেডিকেল অফিসারকে দায়িত্ব অর্পণ না করে তরিঘড়ি করে উপ-পরিচালক নিজ দপ্তরে মেডিকেল অফিসারকে সু-কৌশলে ডেকে এনে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে অপরাগতার স্বীকারোক্তি লিখে নেয়। এখবরে অন্যান্য কর্মকর্তারাও নাখোস। মেডিকেল অফিসারের নিকট দায়িত্ব অর্পিত হলে আমরা নিয়মিত বেতন-ভাতাদি ভোগ করতাম। এ ব্যাপারে দপ্তরের ৭ বছরের অধিক সময় ধরে থাকা নীলফামারীর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আফরোজা বেগমের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে জানান, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এমনটি হয়েছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে। তবে বেশ কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ঢাকায় রয়েছি অফিসে আসেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top