সকল মেনু

সৈয়দপুর শহরে সড়কগুলোতে যত্রতত্র ময়লা, আবর্জনার স্তুপ

unnamed মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ২৭ এপ্রিল: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাস্টবিন নেই। ডাস্টবিনের অপ্রতুলতায় শহরের বাসা-বাড়ি,ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা রাস্তার ওপর যত্রতত্র স্তুপ অবস্থায় পড়ে থাকে। আর এ সব ময়লা-আবর্জনার স্তপ থেকে উৎকট দূর্গন্ধ ছড়ায় প্রতিনিয়ত। তারপরও নিরূপায় হয়ে নাকে রুমাল কিংবা কাপড় চেপে ওই সব ময়লা-আবর্জনার পাশ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। আর এ দৃশ্য কমবেশি পৌরসভার সব ওয়ার্ডে লক্ষ্য করা যায়। সৈয়দপুর পৌরসভা স্থাপিত হয় ১৯৫৮ সালে। ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভাটি। আয়তন প্রায় ২৩.২৩ বর্গকিলোমিটার। পৌর এলাকার মধ্যে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা, সৈয়দপুর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর সেনানিবাস , সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরী ও বিসিক নৈপূণ্য বিকাশ কেন্দ্র, সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারী-আধা-সরকারী অফিসসমূহ রয়েছে। পৌর এলাকার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছ ু নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্যযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয়, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, সানফ্লাওয়ার স্কুল ও কলেজ, সৈয়দপুর মহাবিদ্যালয়, সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়, আল-ফারুক একাডেমী প্রভূতি। সৈয়দপুর মূলতঃ একটি উপজেলা শহর। উপজেলা শহর হলেও একটি শিল্প, ব্যবসা সমৃদ্ধি বাণিজ্যিক কেন্দ্রও। ফলে  প্রতিদিন আশপাশের জেলা ও উপজেলাগুলো থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে এ শহরে। হালে শিল্প ও বাণিজ্য প্রধান এ শহরটি শিক্ষা নগরী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। তাই উপজেলা ৫টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের মানুষ তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য ছুঁটে আসছেন এ শহরে। গ্রামাঞ্চল থেকে আসা মানুষের মধ্যে অনেকে ভাড়া বাসায়, কেউ কেউ জায়গায় জমি কিনে নিজের বাসা-বাড়ি তৈরি করে শহরের বাসিন্দা বনে যাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত শহরে মানুষের চাপ বাড়ছে। তাই প্রতিদিন শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। শহরের প্রধান প্রধান আবাসিক এলাকাগুলোতে এখন ভাড়া বাসা কিংবা বাসা-বাড়ি করার মতো খালি জায়গায় জমি পাওয়া একেবারে দূরূহ হয়ে পড়েছে। সৈয়দপুর পৌর এলাকার আবাসিক এলাকাগুলোতে বাসা-বাড়ির তুলনায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিনের সংখ্যা একেবারে কম। পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌরসভার যে অল্প সংখ্যক ডাস্টবিন রয়েছে সেগুলোও খুব ছোট আকারের। ফলে আবাসিক এলাকার বাসা-বাড়ি ময়লা-আবর্জনা দিয়ে অল্প সময়ে সেগুলো পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তাই অনেক সময় বাধ্য হয়ে পৌরবাসী ডাস্টবিনের বাইরে সড়কের ওপর ময়লা-আবর্জনা রেখে দেন। অনেক এলাকায় আবার পৌরসভার কোন ডাস্টবিনই নেই। সে সব এলাকার নাগরিকরা সাধারণতঃ বাড়ি-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের ময়লা-আবর্জনা সড়কের ওপর রেখে দেন। সে সব ময়লা-আবর্জনা পৌরসভার ময়লাবহনকারী গাড়ি এসে তুলে নিয়ে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে। রাস্তার ওপর বাসা-বাড়ির ময়লা আবর্জনা রাখা নিয়ে মাঝেমধ্যে প্রতিবেশি লোকজনের মধ্যে তুমুল বাগবিতন্ডার ঘটনাও ঘটে।  কারণ অনেকেই তাদের বাসা-বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর ময়লা-আবর্জনা জমা করতে দেন দেন। কারণ এ সব ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়াতে থাকেন উৎকট দূর্গন্ধ। কখনও কখনও এ সব ময়লা-আবর্জনা থেকে কুকুর-বিড়াল, পশু-পাখিকে তাদের খাবার খুঁজতে দেখা যায়। তখন সে সব ময়লা আবর্জনা পুরো সড়ক জুড়ে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়ে। আর এ সব দূর্গন্ধময় ময়লা-আবর্জনার পাশ দিয়ে চলতে গিয়ে মারাত্মক বিড়ম্বনায় পড়েন নাগরিকরা। কখনও কখনও নাকে রুমাল কিংবা কাপড় চেপে ধরে চলাচল করতে হয় পৌর নাগরিকদের।  এছাড়াও পৌরসবার আবাসিক এলাকার রাস্তাগুলো নিয়মিত ঝাঁড়- দিয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top