সকল মেনু

সৈয়দপুরে ইরি-বোরোর সোনালি ধান বাতাসে দুলছে

unnamed মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ২৩ এপ্রিল: নীলফামারীর সৈয়দপুরে কৃষকের কষ্ট আর শ্রমিকের ঘামে উৎপাদিত ইরি- বোরোর সোনালি ধান উঁকি দিচ্ছে। ১০/১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে কাটা- মাড়াই শুরু হবে এমনটাই আশা করছেন কৃষকরা। এই ইরি-বোরো রোপনে বৃষ্টির অভাব থাকলেও চৈত্রের কিছুটা বৃষ্টি ও বৈশাখৈ শেষ বৃষ্টি মেলায় কৃষকদের স্বস্তি ফিরে এসেছে। ফলে লকলকিয়ে বেড়ে উঠেছে ইরি-বোরো ক্ষেতগুলো। বাতাসের দোলা আর আকাশের বৃষ্টি বোরোর চারাগুলো সতেজতায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সেই বোরো ক্ষেতে সোনালি ধান উঁকি মারায় ফুটে উঠেছে কৃষকের মুখেও হাসি। এবছর নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মোট ৬ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি- বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ করা হয়েছে ৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। আর এজন্য বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৮৫ মেট্রিক টন চাল। কৃষকরা জানায়, ইরি-বোরোর বীজতলা তৈরির সময় তীব্র শীতের কবলে পড়ে বীজতলা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলা পলিথিনে মুড়িয়ে এবং সেচের ব্যবস্থা করে বীজতলা রক্ষা করা হয়। ফলে মৌসুমে বীজতলার কোন সংকট দেখা দেয়নি। তবে সেচের জন্য কৃষকদের শ্যালো মেশিন বসিয়ে বোরো ক্ষেতে সেচ দিতে হয়েছে। উপজেলার কামারপুকুর, খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর, বাঙালিপুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বোরো ক্ষেতগুলো সোনালি রং ধারণ করেছে। তবে শেষ সময়ে পোকা আর ইঁদুরের উপদ্রুব কোন কোন এলাকার কৃষকদের সমস্যায় ফেলেছে। ফলে কোথাও কৃষকরা পাকা বোরো ক্ষেতে পোকা দমনের জন্য কীটনাশক স্প্রে করছেন আর ইঁদুরের উপদ্রুব থেকে ক্ষেত বাঁচাতে ক্ষেতেই পলিথিনের ঝান্ডা উড়িয়েছেন। আগামি ১০/১৫ দিনের পুরোদমে উপজেলার সর্বত্র কাঁ-মাড়াই শুরু হবে বলে জানান কৃষকরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ইরি- বোরোর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তারা। সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হোমায়রা মন্ডল জানান, এবারে ইরি- বোরোর বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। সেলক্ষ্যে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top