সকল মেনু

সৈয়দপুর ভারতীয় আমে ভরপুর;ক্রেতারা বিপাকে

unnamed মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ২২ এপ্রিল: নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে ভারতীয় আমে। মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে মাস খানেকের বেশি বাকি থাকলেও মধূমাসের মিষ্টি ফল আম বাজারে এসেছে প্রচুর। তবে এগুলো স্বুসাদু দেশীয় আম নয়। রাসায়দিন দিয়ে পাকানো ভারতীয় আম। সৈয়দপুর ও আশেপাশের হাট বাজারে এসব পাকানো আমে সয়লাব হয়ে গেছে বাজার। মৌসুম শুরুর আগেই এসব  আম বাজারে এনে  চড়া দামে বিক্রি করছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। সৈয়দপুর উপজেলার চৌমুহনী বাজার, কামারপুকুর হাট, হাজারী হাট, পোড়ারহাটসহ শহরে ফলের দোকানে ও ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ওই ভারতীয় আম। মধূমাসে মিষ্টি ফল আমের স্বাদ নেয়ার জন্য এসব বাসায়নিকে পাকানো ভারতীয় আম কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। হাট বাজার ছেয়ে যাওয়া এসব আম দিনাজপুর জেলার হিলি ও লালমনিরহাট জেলার বুড়িবাড়ী স্থলবন্দর ও অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে  চোরাই পথে সৈয়দপুরে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বৈশাখের শুরু থেকেই এসব আম স্থানীয় ফলের দোকানে শোভা পাচ্ছে ও আমের রং দেখে ক্রেতারা আকৃষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যদ্বারা পাকানোর ফলে স্বাস্থহানি ঘটনাসহ শরীরে নানা উপস্বর্গ দেখা দেয়ার আশংকা থাকলেও মৌসুমের নতুন ফল হওয়ায় ক্রেতারা আমগুলো দেদারছে ক্রয় করে খাচ্ছেন। স্থানীয় জাতের আম এখনও বাজারে উঠতে প্রায় মাস খানেক সময় লাগতে পারে। কিন্ত ভারত থেকে চোরাপথে বানের পানিরমত আসা বিষাক্ত রাসায়নিক দিয়ে পাকানো এসব ক্ষতিকারক আম দোকানগুলোতে শোভা পেলেও স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ক্রেতারা টাকা দিয়ে বিষ সমতুল্য ওইসব আম ভক্ষন করে চলছে। আর ওইসব আমও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। প্রতিকেজি আম ১৮০ থেকে ২০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সৈয়দপুর কাঁচা ফলের আড়তে গিয়ে বিভিন্ন মহাজনের সাথে  এবং সীমান্তে চোরাই কাজে নিয়োজিত কয়েকজন মহিলার সাথে কথা হলে তারা জানায়, অসাধূ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এসব আম নির্বিঘেœ সীমান্তের ওপার থেকে এপার এনে বাজারজাত করছেন। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব চেরড়াই কাজে দরিদ্র ও হতদরিদ্র স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলা এবং বিশেষ করে শিশুদের অর্থের লোভ দেখিয়ে চোরাই পথে এসব পণ্য বহনে ব্যবহার করে থাকেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top