সকল মেনু

টর্নেডোর লন্ডভন্ড শার্শা ও ঝিকরগাছা

unnamed শার্শা ও ঝিকরগাছায় থেকে ফিরে যশোর প্রতিনিধি আব্দুল ওয়াহাব মুকুল: যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছায় টর্নেডোর আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার রাতে ১০ মিনিটের টর্নেডোয় এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে শার্শার ডিহি ইউনিয়নের পন্ডিতপুর গ্রামের আবদুল হামিদ ও বোরহান, রঘুনাথপুরের বিশ্বনাথ বিশে, অনিল, আব্দুল হামিদ, আব্দুল মমিনের স্ত্রী জোহরা বেগমসহ মোট ৫ জন আহত হয়েছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।এলাকাবাসী সূত্র মতে, রাতে পশ্চিম আকাশে হাঠাৎ মেঘ দেখা দেয়। এর দু’তিন মিনিটের মধ্যে টর্নেডো আঘাত হানে। এতে শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়ন, ঝিকরগাছা গঙ্গানান্দপুর ও শিমুলিয়া ইউনিয়নের কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। অনেক ঘরের টিন উড়ে গেছে, ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে টালির ঘর। ঝিকরগাছার পাল্লা গ্রামের শাহাবুদ্দিন জানান, ১০-১৫ মিনিটের ঝড়ে তাদের এলাকায় ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ ভেঙ্গে ও উপড়ে ঝড়ে ৫০/৬০ হাত দূরে নিয়ে ফেলেছে। এ রকম ক্ষতিতে কৃষক পরিবারের মধ্যে হা হুতাশ বিরাজ করছে। শার্শার পাকশিয়া বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, এ বাজারের ঐতিহ্যবাহী ঝাউগাছ উপড়ে সরদার গার্মেন্টের উপরে পড়েছে। এতে দোকানোর মালামালের ক্ষতি হয়েছে। এতে নাভারণ-কাশিপুর সড়কের যানচলাচল বিঘœ ঘটছে। টর্নেডোয় বিধ্বস্ত হয়েছে পাকশিয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। বৃষ্টিতে এ বিদ্যালয়ের অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ক্লাস বন্ধ রেখেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শার্শার চন্দ্রপুর গ্রামের আয়ুব খান জানান, তাদের গ্রামে বেশিরভাগ ঘরবাড়ি ভেঙ্গ চুরে নষ্ট হয়ে গছে। গাছপালা ভেঙ্গে ও উপড়ে ঘরবাড়ির উপরে পড়েছে।
ডিহি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আমির হোসেন রানা বলেন, তার এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রঘুনাথপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ার কাঁচাঘরবাড়ি অবশিষ্ট বলে কিছু নেই। শালকোনা গ্রামেও একই অবস্থা। এ গ্রামের বড়বড় গাছ উপড়ে ঘরে পড়েছে। ধান গাছ মাটির কাছাকাছি হেলে গেছে বলে জানিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান।
ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান জানান, তিনি  নেতাকর্মীদের নিয়ে সকালে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। টর্নেডোর আঘাতে পন্ডিতপুর গ্রামের আবদুল হামিদ ও বোরহানের মাথা কেটে গেছে। আর রঘুনাথপুরের আব্দুল মমিনের স্ত্রী জোহরা বেগম, বিশ্বনাথ বিশের গায়ে টালি ও ঘরের খুঁটি পড়ে আহত হয়েছেন। এসময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ পরিবারকে ৫০০ টাকা করে ও একটি পরিবারকে ১ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন শার্শা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম শরিফুল আলম, ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর মান্নান, ইউপি সদস্য আমির হোসেন রানা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফজলুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ। পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনধিদের সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top