সকল মেনু

আম-কাঁঠালের শতভাগ উৎপাদনের সম্ভাবনা

4_131721ডেস্ক রিপোর্ট : ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আম, কাঁঠাল আর লিচু বাগানগুলো ছোট ছোট ফলে ভরে উঠেছে। রূপান্তর হতে শুরু করেছে পরিণত ফলে। অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ও সঠিক পরিচর্যা করা গেলে চলতি মৌসুমে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলের ব্যাপক ফলন হবে বলে বিশেষজ্ঞ ও কৃষিবিজ্ঞানীরা আশা করছেন। এতে করে ফল চাষিদের মুখেও ফুটবে হাসি। মৌসুমি ফলের পরিচর্যা নিয়ে কীটতত্ত্ববিদ প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ বলেন, আম, কাঁঠাল ও লিচুর জন্য বর্তমানে আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। কিন্তু এ পরিস্থিতিতেও সঠিক পরিচর্যার অভাবে আম, কাঁঠাল, লিচুর মতো মৌসুমি ফলে বিভিন্ন ধরনের পোকা ও রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। এতে ফলনও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যেতে পারে। শুরু থেকেই চাষিরা সচেতনতা অবলম্বন করে সঠিক পরিচর্যা নিলে এবার মৌসুমি ফলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, এ মৌসুমে আমে হপার পোকার আক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এতে আমের উৎপাদন ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। আর এ ক্ষতিকর ম্যাঙ্গু হপার প্রতিরোধ করতে ল্যামডাসাই হ্যালোথ্রিন প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার অথবা কনফিডর প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৪ গ্রাম হারে মিশিয়ে এক সপ্তাহ পর পর তিনবার স্প্রে করতে হবে। এতে করে আম চাষিরা কাক্সিক্ষত ফলন পাবেন। এছাড়া আমে পোকার আক্রমণের পাশাপাশি অ্যানথ্রাকনোজ ও পাউডারি মিলডিও নামে রোগের আক্রমণ দেখা যায়। এ রোগের আক্রমণে আমের বোঁটা কালো হয়ে যায়। এর ফলে আম ঝরে পড়ে। এ রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় টিল্ট ২৫০ ইসি প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে অথবা নাটিভো একই অনুপাতে স্প্রে করতে হবে। এছাড়া আমের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হলে গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দিতে হবে। এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী অঞ্চলের প্রতিটি বাগানে আমের ভালো ফলন হয়েছে। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায়ও একই অবস্থা দেখা যায়। এ ব্যাপারে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, বর্তমান সময়ে আমে জাব ও মিলিবাগের আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এগুলো আমের ডগা ও বডিতে আক্রমণ করে। ফলে আমের উৎপাদন অনেক কমে যেতে পারে। এগুলোর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ম্যালাথায়ন ৫৭ ইসি প্রতি লিটারে ২ মিলিলিটার হারে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া সাধারণ পানি গাছে স্প্রে করেও প্রতিরোধ করা যাবে। ফেরোমন ট্র্যাপ, পাতলা নেট ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করে আমের ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে রাজশাহী চারঘাট উপজেলার আম চাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, মৌসুমি বিভিন্ন রোগ ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে আশানুরূপ উৎপাদন পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top