বিনোদন প্রতিবেদক : হৃদয় খান আর সুজানার প্রেম করা বিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকলো না। এখন তা শুধুই অতীত। আজ সোমবার রাজধানীর মণিপুরিপাড়ায় একটি কাজী অফিসে তালাকনামায় স্বাক্ষর করেছেন হৃদয় ও সুজানা।
বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের সম্পর্কে টানা-পোড়েন চলছিল। অবশ্য দু’জনের পরিবারই অনেকবার আলোচনা করে মনোমালিন্যের ব্যাপারটা মেটাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা কাজে আসেনি।
তালাক হয়ে গেলেও হৃদয়ের জন্য সুজানার হৃদয়ে ভালবাসা হয়তো এখনও আছে। তাই তো বললেন, ‘দোয়া করি হৃদয় যেন ভালো থাকে।’
তবে হ্যাঁ, রাগও আছে অনেক। জানালেন হৃদয়কে আরও পরিণত হতে হবে।
‘আবেগ দিয়ে সংসার হয় না। মুরব্বিদের শ্রদ্ধা করাও শিখতে হবে ওকে। মুরব্বিকে না মানলে কেউই বড় হয়না। হৃদয় শুধু মানুষকে শুনিয়ে এসেছে আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু বিয়ের পর একছাদের নিচে থাকতে গিয়ে টের পেলাম, ওর ভালোবাসা পুরোটাই ছিলো মেকি।’
তাদের ঝগড়া এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছিল যে কয়েক মাস ধরে তারা আলাদা থাকছিলেন।
২০১৪ সালের ১ আগস্ট তারা বিয়ে করেন। তার আগে বেশ কিছুদিন চুটিয়ে প্রেমও করেছিলেন। হৃদয় খানের গানের মডেল হতে গিয়ে সুজানার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়।
হৃদয়-সুজানার এই বিয়ের আগে অবশ্য তাদের দুজনেরই বিয়ে হয়েছিল। ২০১০ সালে পূর্ণিমা আকতার নামের একটি মেয়ের সঙ্গে ছয় মাস সংসার করার পর তার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় হৃদয়ের। আর ২০০৬ সালে সুজানা চার মাসের সংসার করে একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে।