সকল মেনু

রায়ের কপি হাতে পেলেই ব্যবস্থা

kamaruzzaman-ed_131706অনলাইন প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায়ের কপি হাতে পেলেই কার্যকরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী।
সোমবার বিকেল সোয়া ৫টায় কারাফটকে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ফরমান আলী জানান, রায়ের কপি এখনো হাতে পাইনি। যেকোনো সময় তা পাব। সেটি পেলে প্রথমে তা কামারুজ্জামানকে পড়ে শোনানো হবে। এর পর রায় কার্যকরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না, তা এখনো জানতে চাওয়া হয়নি।
ফরমান আলী বলেন, আদালতের কপি হাতে পেলেই ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাওয়া হবে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কী না।
অফিস সময় বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছে, এ অবস্থায় সোমবার আর কারাগারে আদালতের রায় পৌঁছানোর সময় আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সিনিয়র জেল সুপার বলেন, ‘এর আগেও অফিস সময়ের পরে কারাগারে মহামান্য আদালতের নির্দেশ পৌঁছেছে। এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে কারাগারের ভেতরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কফিন পাঠানো হয়েছে। কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে চলছে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আয়োজন। পাশাপাশি কারাগার ও এর আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, সুপ্রিমকোর্টের রিভিউ আদেশের শর্টকপি অথবা পূর্ণাঙ্গ কপির লিখিত ট্রাইব্যুনাল হয়ে কারাগারে পাঠানো হবে। এরপর সেটি কামারুজ্জামানকে পড়ে শোনানো হবে। এমনকি রায়ের কপি দেখানোও হতে পারে। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জিজ্ঞাসা করবেন, আপনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না? জবাবে তিনি ‘হ্যাঁ’ বললে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। আর যদি ‘না’ বলেন তবে সেই মুহূর্ত থেকে ফাঁসি কার্যকরের জন্য ব্যবস্থা নেবে কারা কর্তৃপক্ষ।
কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা চাইলে তিনি আইনজীবীদের সাক্ষাতের অনুমতি চাইতে পারেন। সে সুযোগ দেওয়া হবে তাকে। আইন অনুয়ায়ী কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা সাক্ষাৎ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। আর না চাইলে সেই অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হবে। পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করে চলে যাওয়ার পর কামারুজ্জামানের ক্ষণ গণনা শুরু হবে।
কামারুজ্জমানের স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। তিনি তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করবেন কি-না জানতে চাওয়া হয় ফোনে।
কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবাল জানান, দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন ডেপুটি জেলার তার মাকে ফোন করে দেখা করবেন কি-না তা জানতে চেয়েছেন। তবে মা এখন পর্যন্ত সম্মতি দেননি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম বলেন, আমরা আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে রাখছি। তবে এখন পর্যন্ত আদালতের কোনো আদেশ পাওয়া যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top