সকল মেনু

৩০০ সিনেমা হল ডিজিটালাইজড করা হবে

indexনিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার ৩০০ সিনেমা হলকে ডিজিটালাইজড করার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
এর আগে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৩’ প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কারপ্রদান শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সিনেমা হলের সংখ্যা কমে গেছে। কীভাবে সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়ানো যায় তার জন্য কাজ করছে সরকার। আমরা ১০০ সিনেমা হলকে ডিজিটালাইজড করার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু করছি। পর্যায়ক্রমে ৩০০ সিনেমা হলকে ডিজিটালাইজড করা হবে। এ ছাড়া ডিজিটাল চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে তুলতে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ফিল্ম সিটি নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে ৫৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। কারণ এফডিসি জাতির পিতার হাতে তৈরি।
৬৪ জেলায় চলচ্চিত্র কমপ্লেক্স গড়ে তোলার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএফডিসিতে ডিজিটালাইজড চলচ্চিত্র কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অধ্যয়ন ইন্সটিটিউট। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করেছে।’
সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করলে করমুক্ত রাখা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, ‘সরকার চলচ্চিত্র শিল্পে ৩৫ শতাংশ কর মওকুফ করেছে। সিনেপ্লেক্স নির্মাণের ক্ষেত্রেও করমুক্ত রাখা হবে।’
অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মননা প্রদান করা হয় বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীকে। এ ছাড়া ১৭টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছে গাজী রাকায়েত পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘মৃত্তিকা মায়া’।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৪টায়। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ এমপি।
পুরস্কার প্রদান শেষে জাহিদ হাসান ও মেহের আফরোজ শাওনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয় ৪৫ মিনিটের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এতে অংশ নেন আমিন খান ও নিপুণ, ওমর সানী, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, নিরব, মেহজাবিন, জায়েদ খান, শিরিন শিলা, পরী মনি।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- খুরশীদ আলম, মমতাজ, শাকিলা জাফর, আঁখি আলমগীর, দিনাত জাহান মুন্নি, কোনাল ও তৌসিফ।
এ বছর যারা পুরস্কার পেলেন
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘মৃত্তিকা মায়া’ (প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর ও গাজী রাকায়েত), শ্রেষ্ঠ পরিচালক গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ সংলাপ গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), প্রধান চরিত্রের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা তিতাস জিয়া (মৃত্তিকা মায়া), প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (যৌথভাবে) মৌসুমী (দেবদাস) ও শর্মিমালা (মৃত্তিকা মায়া), পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ (মৃত্তিকা মায়া), পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ (মৃত্তিকা মায়া), খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মামুনুর রশিদ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ চিত্র গ্রাহক সাইফুল ইসলাম বাদল (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শব্দ গ্রাহক কাজী সেলিম (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক (যৌথভাবে) শওকত আলী ইমন (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী) ও একে আজাদ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ গায়ক চন্দন সিনহা (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী), শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যৌথভাবে) সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লা (দেবদাস), শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী), শ্রেষ্ঠ সুরকার কৌশিক হোসেন তাপস (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম রাসেল (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শিল্পী নির্দেশক উত্তম গুহ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও অঙ্গসজ্জা ওয়াহিদা মল্লিক জলি (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যান আলী বাবুল (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী স্বচ্ছ (একই বৃত্তে), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার সৈয়দা অহিদা সাবরিনা (অন্তর্ধান), শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র শুনতে কি পাও (সারা আফরিন)।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top