সকল মেনু

হলিউডের বিতর্কিত তারকারা

top-one-1428044753তারকাদের ইমেজ বেশ জরুরি বিষয়। আমাদের দেশে তারকারা সাধারণত একেবারেই নিপাট ভদ্র ইমেজ নিয়ে থাকতে চান। তবে পশ্চিমে ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। সেখানে তারকাখ্যাতির সঙ্গে বিতর্কিত হওয়ারও বেশ একটা যোগসাজশ আছে। শুধু তাই নয়, সেখানে যেন তারকাদের একটু খারাপ ইমেজ থাকাটা ভীষণই জরুরি।
তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ সেখানকার শিশুতারকারা। মানে শিশুবয়সেই যাদের কপালে জুটে যায় তারকাখ্যাতি। প্রায়ই দেখা যায়, একটু বয়স হতে না হতেই তারা তাদের সেই শিশুসুলভ তারকাখ্যাতি ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। সে জন্য রীতিমতো বিতর্কিত কাজ করতেও দ্বিধা করেন না তারা। আর সে বিতর্কিত কাজ করা তারকাদের তালিকাতে রয়েছেন মাইলি সাইরাস, আরিয়ানা গ্র্যান্ডে কিংবা জাস্টিন বিবারের মতো তারকারাও।
মাইলি সাইরাস : ডিজনি-র হান্না মন্টানা-তে অভিনয় করে মাইলি ঘরে ঘরে এক রকম আদর্শ নারী বনে গিয়েছিলেন। খ্রিস্টান অভিভাবকদের কাছে সে চরিত্র ছিল শিশুদের কাছে উদাহরণ। পরবর্তীতে ডিজনির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে মাইলি সলো ক্যারিয়ার শুরু করলেন। আর তার পরেরটুকু যারা তার মিউজিক ভিডিওর সঙ্গে পরিচিত, তারাই জানেন। যাকে বলে বাঁধ ভেঙে দেয়া আরকি।
জেমি লিন স্পিয়ার্স : ব্রিটনি স্পিয়ার্সের বোন জেমি লিন স্পিয়ার্সের আবির্ভাব নিকলোডিয়ান-এর হাত ধরে; চ্যানেলটির ‘জোয়ি ১০১’ সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। সিরিজটির মূল বিষয়বস্তুই ছিল জোয়ি ও তার বন্ধুদের নানা ভালো কাজ করার ঘটনা। অথচ সেই জেমি লিন ১৬ বছরের থাকতেই আচমকা মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দেন! তখন তার প্রেমিক এবং হবু সন্তানের বাবা ক্যাসি অলড্রিজের বয়সও মোটে ১৮ বছর।
নিক জোনাস : জোনাস ব্রাদার্স ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য নিক জোনাস। খ্রিস্টান আচারে ভীষণ বিশ্বাসী জোনাস ব্রাদার্সের বিশেষত্ব হলো, ব্যান্ডের সবাই পিউরিটি রিং পরে। অর্থাৎ তারা বিবাহ-পূর্ব শারীরিক সম্পর্কে বিশ্বাসী না। তবে ঘটনা হলো,এখন আর তিনি পিউরিটি রিং পরেন না। স্বীকারও করেছেন, তিনি এখন সব ব্যাপারেই প্রাপ্তবয়স্ক।
আরিয়ানা গ্র্যান্ডে : আরিয়ানা গ্র্যান্ডেও নিকলোডিয়ানের মাধ্যমেই মিডিয়ায় এসেছেন। প্রথমে অভিনয় করেন ভিক্টোরিয়াস-এ। পরে স্যাম এন্ড ক্যাট-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে। সিরিজটি ছিল দুই কিশোরী বান্ধবীর বেবিসিটিং করার গল্প। তবে কিছুদিনের মধ্যেই অভিনয় ছেড়ে তিনি ক্যারিয়ার গড়েন গানের রাজ্যে। তাতেও সব ঠিকঠাক ছিল; তার কনসার্টে কিংবা স্টেজ পারফর্মেন্সে তার কাপড়-চোপড়ের চেয়ে তার গানের গলা নিয়েই বেশি কথা হত। তবে ইদানিং অনুপাতটা বদলে গেছে। সমসাময়িক অন্য অনেকের মতোই ইতালিতে জন্ম নেয়া এই শিল্পীও এখন স্টেজে হ্রস্ব আকৃতির জামা পরতে শুরু করেছেন।
জাস্টিন বিবার : তের বছর বয়সে ইউটিউবে হৈচৈ ফেলে মিডিয়াতে জায়গা করে নেন জাস্টিন বিবার। আর তার এ জনপ্রিয়তার মূল কারণ ছিল তার শিশুসুলভ চেহারা, সারল্যমাখা হাসি, বাচ্চাসুলভ নিষ্পাপ ভাবমূর্তি ইত্যাদি। তবে সম্প্রতি বিবার ভালো ছেলে থেকে খারাপ ছেলে হওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই বারকয়েক বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ভাঙচুর ইত্যাদি কারণে পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছেন। অবশ্য এখনও তাকে ঠিক খারাপ ছেলে হতে দিচ্ছে না তার ওই শিশুসুলভ চেহারা-ই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top