সকল মেনু

ভোলায় তরমুজের বাম্পার ফলন:কৃষকের মুখে হাঁসি

unnamed ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিনাঞ্চলের গ্রামগুলোতে চলছে তরমুজ তোলার উৎসব। ঢাকা বরিশাল এবং চট্টগ্রামের পাইকার, পরিবহন, কোম্পানী, মধ্যস্বত্বভোগীরা দালাল থেকে শুরু করে গ্রামের নারী, শিশু, কিশোর এবং কৃষক-কিষাণী এই উৎসবে মাতোয়ারা। অনুকূল আবহাওয়ায় বাম্পার ফলন এবং প্রত্যাশিত বাজার দর থাকায় তরমুজকে ভিত্তি করে গ্রামগুলোর অর্থনীতি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। চরফ্যাশনের মুজিব নগর, নজরুল নগর, চরকলমী, আবুবকরপুর, ওসমানগঞ্জ, নুরাবাদ, এওয়াজপুর এবং নীল কমল ইউনিয়নের গ্রামগুলো ঘুরে তরমুজ নিয়ে কৃষক পরিবারের উৎসব মুখর ব্যস্ততা চোখে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর চরফ্যাশনে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮শ’ হেক্টর। কিন্তু ব্যপক লাভ আর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এখানে আবাদ হয়েছে ১৫ দশমিক ২শ’ ৭৫ হেক্টর। পুরো মৌসূমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হয়েছে বাম্পার ফলন। এখন কৃষক পরিবারে চলছে তরমুজ তোলা আর বিক্রির মাধ্যেমে টাকা বুঝে নেয়ার আয়োজন। বরিশাল, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে আসা ফড়িয়া, দালাল এবং পরিবহন কোম্পানীর লোকজন ভীর করেছে গ্রামগুলোতে। বিক্রির জন্য ক্ষেতের ধারে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। নদী বা খালের পাড়ে লোড হচ্ছে কার্গো এবং ট্টলারগুলো।
আবুবকর পুর গ্রামের তরমুজ চাষী শাহ্ আলম জানান, আকার ভেদে একটি কার্গো ট্টলার ৪ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার তরমুজ বহন করতে পারে। ট্টলারগুলো বরিশালের জন্য তরমুজ প্রতি ৪ টাকা এবং ঢাকার জন্য তরমুজ প্রতি ১৫ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। ট্রাকগুলো ঠিকা হিসেবে পরিবহণ করেছে। ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার তরমুজ নিয়ে একটি ট্রাক ৬০ হাজার টাকায় ঢাকা এবং ৬৫ হাজার টাকায় চট্টগ্রাম যাচ্ছে।
ভাড়ার এই পরিমান গত মৌসূমের দিগুন বলে জানায় কৃষকরা। বাম্পার ফলন এবং একই সাথে লাভের মুখ দেখায় চরফ্যাশনের কৃষকদের মুখে ফুটেছে সফলতার হাঁসি। এভাবে প্রত্যেক বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও বাম্পার ফলন হলে এসব এলাকার তরমুজ চাষীদের দারিদ্রতার রেশ কিছুটা লাঘব হবে বলে মনে করছে বিশিষ্টজনরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top