সকল মেনু

সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ইসি: প্রধানমন্ত্রী

ShekhHassina-1427888441  সংসদ প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুসারে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

বুধবার দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে ফখরুল ইমামের তারকা চিহ্নিত ৯৮ নম্বর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ১০টি সিটি করপোরেশন রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচন আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন উক্ত নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে করার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে ও এই তালিকা এলাকাভিত্তিক বিন্যাস করে সিডি প্রস্তুত করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দলনিরপেক্ষ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্যানেল তৈরি করা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের দ্বারা সরেজমিন পরিদর্শনসহ সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ভোটকেন্দ্র নির্বাচন করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর সকল প্রার্থী উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শান্তিপূর্ণভাবে যেন ভোটার ও প্রার্থীগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন তার জন্য সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষ জনবল নিয়োজিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

নাগরিক সুবিধা সুনিশ্চিত করতে পরিকল্পিত নগরায়ণ সৃষ্টি ও তার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) প্রতিষ্ঠা বিধিমালা, ২০১০ প্রণয়ন করে তার আলোকে পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য গত ছয় বছরে মোট ৪টি সিটি করপোরেশন গঠন করেছে।’

এ লক্ষ্যে সরকার ঢাকা মহানগরবাসীকে উন্নত নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকা সিটি করপোরেশনকে ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণে বিভক্ত করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘স্থানীয় সরকার বিধিমালা, ২০১০ মোতাবেক শর্তাদি পূরণ সাপেক্ষে ময়মনসিংহ পৌর এলাকাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীতকরণের বিষয়টি আওয়ামী লীগ সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের পক্ষে মনিরুল ইসলামের তারিকা চিহিৃত ৯৭ নং লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণই বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন, জঙ্গিনেত্রীর কথা তারা মানেন না। তার দলের নেতারাও তার কথা শোনেন না। তার ফোন পর্যন্তও ধরেন না।’

তাই সংবাদ সম্মেলন করে তিনি(খালেদা জিয়া) আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষ জানে নাশকতা ছাড়া এখন রাজনৈতিক কোন আন্দোলন নাই’-এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তিনি যে ভুল করেছেন। তেমনি এখন দেশের কোন মানুষ তার সাথে নেই, তা বুঝেও তিনি না বুঝার ভান করছেন। তার এই কর্মসূচি বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। এটাই হবে তার কথিত আন্দোলনের যৌক্তিক পরিণতি।’

তিনি আরো বলেন, ‘গত ৫ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ৮৫ দিনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি  বিঘ্নিত করে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারা ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষসহ দেশের নিরপরাধ সাধারণ নারী-পুরুষ এমনকি নিষ্পাপ শিশুদেরও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করছে।’

বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংসতার চিত্র  ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশের প্রায় ১৫ লাখ ছাত্রছাত্রী তাদের বহুল প্রত্যাশিত এসএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে দিতে পারেনি। চরম হতাশার মধ্যে তারা শুধুমাত্র ছুটির দিনগুলোতে পরীক্ষা দিয়েছে। এসব কোমলমতি ছাত্রছাত্রী এক প্রকার নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে বড় হবে।এতে আগামী প্রজম্ম যোগ্য হয়ে গড়ে উঠার ক্ষেত্রে বিরুপ প্রভাব ফেলবে।’

দেশ যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যান্য দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে, ঠিক তখনই অর্থনীতির গতিকে রুদ্ধ করার জন্য তাদের এ হরতাল-অবরোধের অর্থ আর কি হতে পারে বলেও প্রশ্ন করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এটি দেশের চলমান অথনৈতিক অগ্রগতিকে রুখে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। এ নৈরাজ্য দীর্ঘদিন চলতে দেওয়া যায় না।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top