আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং দফায় দফায় বৈঠকের পর মিয়ানমার সরকার ও বিদ্রোহীরা যুদ্ধবিরতির খসড়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন দেশটির সামরিক প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। কয়েক দশক ধরে বিদ্যমান সংঘর্ষ বন্ধে এই চুক্তিকে উল্লেখ্যযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিদ্রোহী ও সরকারের মধ্যে সাত দফায় বৈঠকের পর এই খসড়া চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে পক্ষগুলো।
মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত ১৬টি বিদ্রোহী সংগঠন যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়েছে। তবে এই খসড়া চুক্তি চূড়ান্ত করতে গেলে বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের অনুমোদন লাগবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সে প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে।
মিয়ানমারে এই সময়ে সবচেয়ে বড় হুমকি কোকাং বিদ্রোহীরা। কয়েক সপ্তাহ আগে কোকাং বিদ্রোহীদের হামলায় কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছে। পাল্টা হামলায় বিদ্রোহীরাও নিহত হয়। এই কোকাং বিদ্রোহীরা আলোচনায় অংশ নেয়নি। ফলে তাদের সঙ্গে সরকারের কোনো চুক্তি হলো না।
খসড়া হলেও সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের চুক্তির বিষয়টিকে ‘ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর দেশটির আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আদিবাসীরা অধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দেয়। সেই লড়াই চলছে। মাঝে মাঝে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আদিবাসীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে হরহামেশ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।