সকল মেনু

পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় নির্দোষ ওলিয়ার এখন কারাগারে

 jail-photo-3_5515_0এস,আই মল্লিক, ঝিনাইদহ: পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় প্রেমিক যুগলের নিষ্ঠুর চক্রান্তের শিকার হয়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার ব্যবসায়ী ওলিয়ার রহমান এখন কারাগারে। এদিকে প্রকৃত সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসলেও ঘটনার অন্তরালে থাকা আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না ওলিয়ারের পরিবারের লোকজন। জানা যায়, গত ১৫ মার্চ বিকালে কোটচাঁদপুর থানাপুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পৌর শহরের বাজেবামনদহ গ্রামের আমজেদ আলীর পুত্র ওলিয়ারের বাড়িতে তল্লাসি চালায়। সে সময় ২টি ককটেলসহ ওলিয়ারকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রত্যক্ষর্দীরা জানায়, ঘর তল্লাসি করার সময় পুলিশ মোবাইল ফোনে কথা বলছিল এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তার শয়ন কক্ষ থেকে ককটেল ২টি উদ্ধার করে। গ্রেফতারের পর ওলিয়ার বারবার পুলিশকে বলেছিল সে নির্দোষ তাকে চক্রান্ত করে ফাসানো হচ্ছে। অথচ, কোন তদন্ত ছাড়াই তার ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন করছে পুলিশ এমন অভিযোগ ওলিয়ারের পরিবারের। এরপর থেকে অসহায় ওলিয়ারের দিন কাটছে অন্ধকার কারাগারে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ওলিয়ারের প্রতিবেশি আনারুল ইসলামের অবিবাহিত কন্যা সুমাইয়া আক্তার (১৬)’র দীর্ঘদিন যাবৎ শহরের বড়বামনদহ গ্রামের ইকবাল হোসেনের পুত্র ফারুকের সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। বিষয়টি জানতে পেরে ওলিয়ার প্রতিবেশির মান-সম্মানের কথা ভেবে তাদের পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেয়। অপরদিকে সুমাইয়াকে পাবার আশায় ফারুক মরিয়া হয়ে নিজ স্ত্রীর ওপর চালাতে থাকে নির্মম নির্যাতন। স্ত্রীকে মারধর করা এমনকি জলন্ত সিগারেট শরীরে চেপে ধরে নির্যাতন করেছে এমন অভিযোগও রয়েছে ফারুকের বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে ওলিয়ার প্রতিবেশির সম্মান রক্ষার্থে ফারুককে সুমাইয়ার সাথে সম্পর্ক না করার জন্য বলে। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। গোপনে চলতে থাকে ওলিয়ারের বিরুদ্ধে প্রেমিক যুগলের চক্রান্ত। সূত্র জানায়, ফারুকই নাকি সুমাইয়াকে দিয়ে ওলিয়ারের ঘরে ককটেল রেখেছে এবং সুমাইয়ার মোবাইল ফোন থেকে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাফর গত রোববার সরেজমিন তদন্ত করতে গেলে সুমাইয়া ককটেল রাখার বিষয়টি স্বীকার করে এবং মাত্র ৪০০ টাকায় ককটেল দু’টি সে কিনেছে এমন কথাও বলে সুমাইয়া। অথচ, অজ্ঞাত কোন এক হাতের ইশারায় ওই কর্মকর্তা সুমাইয়াকে গ্রেফতারতো দুরে থাক তাকে তেমন কিছুই জিজ্ঞাসা করেনি বলে জানায় এলাকাবাসী। অপরদিকে চক্রান্তের নেপথ্যে থাকা আসামীরা ওলিয়ারের পরিবারকে একের পর এক হুমকি দিচ্ছে মামলা না করার জন্য। তাই সত্য উৎঘাটনে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী ওলিয়ারের পরিবার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top