সকল মেনু

শার্শা উপজেলায় পটলের বাম্পার ফলন

unnamed
বিশেষ প্রতিনিধি:  যশোরের শার্শা উপজেলায় চলতি মৌসুমে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে। পটল চাষে তিনগুন লাভবান হওয়ায এই এলাকার কৃষকদের মধ্যে পটল চাষে আগ্রহ বাড়ছে। পটলের মোকাম শার্শা উপজেলা পটলের হাট জমে উঠেছে। এ হাট থেকে দেশর বিভিন্ন জেলা শহরে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ পটল যাচ্ছে।  চলতি মৌসুমে যশোরের শার্শা উপজেলায় ৩২০ হেক্টর জমিতে বারী-১ ও ২ জাতের পটলহস স্থানীয় জাতের পটলর চাষ হয়েছে বলে জানান শার্শা উপজেলার কৃষি অফিসার হীরক কুমার সরকার। এলাকার বিভিন্ন উপজেলা থেকে চাষিরা পটল আনেন বাগআঁচড়া এই মোকামে। সপ্তাহের সত দিনই পটলের বাজার জম জমাট থাকে বলে জানান বাগআঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যেন ইলিয়াস কবির বকুল। তবে এখানে পটলের স্থায়ী বাজার না থাকায় ইউপি ভবনের পাসে মুল সড়কের ওপরই বসে পটলের বাজার। এখানে প্রতিনিয়ত যানযট লেগে থাকে বলে জানান বাগআঁচড়া পটলের আড়ত ব্যাবসায়ী কামাল উদ্দিন বিশ্বাস। তিনি  বলেন এই বাজার থেকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ হাজার মণ পটল দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে পাঠানো হয়। পাইকারী ক্রেতা ও ব্যাবসায়ী মহাসিন আলী জানান, বাজারে ৩২ খেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে পটল বিক্র হছে। কৃষকরা দাম পাছেন ভাল, ফলে তারা খুব খুশি। সতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের পটল চাষি কামরুজ্জমান ও আরাফাত আলী জানান, এক বিঘা জমিতে পটল চাষে খরচ হয়েচে ১৬ হাজার টাকা। তিনি বলেন এবার আমি এক বিঘায় ৪৫ হাজার টাকার পটল বিক্রি করেছি আরো ৩৫ হাজার টাকার পটল বিক্রির আশা করছি। শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া উপ সহকারি কৃষি কর্মর্কতা নারায়ণ চন্দ্র পাল  জানান উপজেলায় পটলের বাম্পার ফলন হযেছে ভালো দাম পাওয়ায় কৃসকের মধ্যে পটল চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top