সকল মেনু

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসসহ সকল কার্যক্রম শুরু

 ইকবাল হোসেন, রংপুর ব্যুরো: আন্দোলনের ফলে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রোববার প্রশাসনের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের তালা ভেঙ্গে ফেলা হয়। এরপর উপাচার্য ঘোষণা দেন সোমবার থেকে পুরোদমে ক্লাসসহ সকল কার্যক্রম শুরু হবে। এ খবর শিক্ষাথীর্, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জানতে পেরে সোমবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে এসে ভীড় করতে থাকেন। এরপর শিক্ষার্থীরা  নিজ নিজ বিভাগে গিয়ে তারা একে অপরকে জড়িয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন। হিসাব বিঞ্জান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আপেল মাহমুদ জানান, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে এসে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন পর তারা ক্লাস করতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন । তিনি জানান সব বিভাগেরই ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল ভাল। শিক্ষার্থী মুশফিকা আলম জানান, অনেকদিন পর ক্লাস করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। কতদিন পর স্যার এবং বন্ধুদের সাথে দেখা হলো। তিনি বলেন, অনেকদিন ক্লাস না হওয়ায় ক্লাস রুমে ধুলোবালিতে ভরে গিয়েছিল। শিক্ষার্থী আবদুর রাজ্জাক জানান, আমরা চাই আর যেন ক্লাস বন্ধ না থাকে। কারণ আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না। দ্রুত লেখাপড়া শেষ করে চাকুরি জীবনে যেন প্রবেশ করতে পারি। পরিবারের সদস্যদের আশা আকাংখা যেন পুরণ করতে পারি। কিন্তু এভানে আন্দোলনের নামে যদি ক্লাস বন্ধ থাকে তবে আমরা সেশনজটের কবলে পড়ব। বাংলা বিভাগের শিক্ষার ড. তুহিন ওয়াদুদ জানান, কতদিন পর শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছি, খুব ভাল লাগছে। আমরা চাই বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন চলবে, তবে তা ক্লাব পরীক্ষা বন্ধ করে নয়। ক্লাস বন্ধ থাকলে পিছিয়ে পড়বে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ইউনিয়নের নেতা আতিকুজ্জামান সুমন জানান, আমরাও  আমাদের কাজ শুরু করেছি। তিনি জানান, আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় অনেক পিছিয়ে গেছে। আর যাবে পিছিয়ে না পরে সেজন্য আন্দোলন ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সকলকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।  বেগম রেকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী গতকাল থেকে ক্লাস শুরু করেছে। তিনি জানান খুব দ্রুত প্রথমবর্ষ অনার্স ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে।  ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৯০ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছে। গত ২ নভেম্বর উপাচার্য ড. একেএম নুর-উন-নবীর অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলি য়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষক সমিতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top