সকল মেনু

নেই রুবেলের সেই বলটি

  ক্রীড়া ডেস্ক : ‘পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ, আমরা সবাই অভিনেতা’।এই উক্তিটি ইংল্যান্ডের কবি উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের। ষোলো শতকের কথাটি অনুকরণ করে রুবেল হোসেনও বলতে পারেন, ‘আইসিসিটা (ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) রঙ্গমঞ্চ, আইসিসির সবাই অভিনেতা!’ ব্যাপারটা কিন্তু তেমনই। কেননা কারো বিনোদনের প্রয়োজন হলে আইসিসির দিকে তাকালেই তা পেয়ে যাবেন। তবে বিশ্বকাপের মতো আসরে তাদের এই নাটক বোধ হয় ভালো লাগবে না কারোরই। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করেছে মোড়লদের হাতের পুতুলে পরিণত হওয়া আইসিসি। সংগঠনটি স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে বলেই টাইগারদের সঙ্গে এমন অন্যায় করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। আম্পায়াররা মাঠে অভিনয় করে রুবেল হোসেনকে নিশ্চিত উইকেট পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেন। রোহিত শর্মাকে জীবন দিয়ে ভারতের জয়ের নেপথ্যের নায়ক বনে যান আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড। এতে ভারতীয়দের কাছে সাধুবাদ পাওয়ার দাবিদার তারা।

মাঠের নাটক শেষ হলো। এবার মাঠের বাইরের নাটকে অভিনয় করছেন আইসিসির কর্তারা। আইসিসির ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের  প্রতিটি ওভারের প্রতি বল ট্রাজেক্টরি ভিউতে দেখা যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে না রুবেলের করা সেই বলটি। নতুন করে বিতর্ক জন্ম দিল আইসিসি। এর মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির নিরপেক্ষতা নিয়েও।

উল্লেখ্য, ভারতের বিপক্ষে ইনিংসের ৪০তম ওভারে রুবেলের করা চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত শর্মা। আর সেই বলটি আশ্রয় নেয় ইমরুল কায়েসের হাতে। হাইটের কারণে সেটাকে নো বল কল করেন পাকিস্তানি লেগ আম্পায়ার আলিম দার। আর সঙ্গে সুর মেলালেন ইংল্যান্ডের বিতর্কিত আম্পায়ার ইয়ান গোল্ডও। যা হওয়ার হলো তা-ই।

হাত প্রসারিত করে গোল্ড জানিয়ে দিলেন, ওটা নো বল। কিন্তু টিভি রিপ্লের ব্যাখ্যা মতে, রোহিতের কোমরের নিচেই ছিল বলটি! আলিম দারের করুণায় নিশ্চিত আউট থেকে বেঁচে যান রোহিত। ৯০ রানে অন্যায়ভাবে জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ভারতের এই ওপেনার। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলায় স্বীকৃতি পান ম্যাচ-সেরারও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top