সকল মেনু

পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানা: সম্পৃক্ত শিবির নেতা ফাহাদ ও তার বাবা

basherkella-last-edনিজস্ব প্রতিবদেক : ফেসবুক পেইজ বাঁশেরকেল্লার এডমিন শিবির নেতা জিয়াউদ্দিন ফাহাদ এবং তার বাবা ইউপি চেয়ারম্যান ছমিউদ্দিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানেই দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর দুর্গম লুটমনি পাহাড়ের জঙ্গি আস্তানটি গড়ে উঠেছিলো বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে- এমন ধারণা স্থানীয় পুলিশের।

অন্যদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বরগুনার জঙ্গি নেতা মোবারক আলীকে ভূমিহীন দেখিয়ে জঙ্গি আস্তানা গড়ে তোলার জন্য বিপুল পরিমাণ পাহাড়ি জমির বন্দোবস্ত করে দেয় ছমিউদ্দিন। এছাড়া ফাহাদ নিজে ওই পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি তদারকি করতো।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশেষ অভিযান চালিয়ে র‍্যাব দুর্গম লুটমনি পাহাড়ে এ জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায়, তখন সেখানেই অবস্থান করছিলেন বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার ছমিউদ্দিন। সময় টেলিভিশনের কাছে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বন বিভাগের নজরদারি না থাকায় জঙ্গিরা এ আস্তানা গড়ে তুলেছে।

কিন্তু এ জঙ্গি আস্তানা গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রথম থেকেই স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগের তীর ছিলো এ ছমিউদ্দিনের দিকে। অবশেষে তার ছোট ছেলে ফেসবুক পেইজ বাশেঁর কেল্লার এডমিন জিয়াউদ্দিন ফাহাদ আটক হওয়ার পর সে অভিযোগ আরো জোরালো হয়ে উঠেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দু’বছর আগেই জঙ্গি নেতা বরগুনা এলাকার মোবারক আলীকে ভূমিহীন দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ পাহাড় বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দু’জনকে এক সাথেও দেখা যেত। একদিকে মুক্তিযোদ্ধা, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হওয়ায় ছমিউদ্দিনকে নিয়ে চরম বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে স্থানীয় নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা।

এই বিষয়ে সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘উনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন।’

বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘তিনি এলাকার চেয়ারম্যান, আর তার ছেলে যদি এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে- তবে তা অবশ্যই জঘন্য ব্যাপার।’

এদিকে, এ জঙ্গি আস্তানা গড়ে তোলার সাথে ছমিউদ্দিন এবং তার ছেলে শিবির নেতা ফাহাদের যোগসূত্রের তথ্য রয়েছে থানা পুলিশের কাছে। বিষয়টি আরো বিশদভাবে অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘এ আস্তানায় ফাহাদের আসা-যাওয়া ছিলো, মোবারকের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিলো বলেও আমরা জানতে পেরেছি। আরও অনেক কিছুই তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।’

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য শনিবার সকালে সাধানপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে ছমিউদ্দিন কৌশলে সেখান থেকে সরে পড়েন। এরপর বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার অফিস সহকারীরা নিশ্চিত করেছেন শনিবার সকাল থেকেই তিনি ইউনিয়ন পরিষদেই অফিস করছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top