সকল মেনু

জনবল সঙ্কটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল, দুর্ভোগে রোগীরা

chapai-hospitaচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : জনবল সঙ্কট আর প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার অভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। সময় মতো ডাক্তার না পাওয়া, প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি রোগীদের নিত্য নৈমিত্তিক অভিযোগ। কিন্তু চলমান সমস্যা নিরসন না করেই শয্যা বাড়ানোর কাজ চলছে হাসপাতালটিতে। তবে জেলার সিভিল সার্জন বলছেন, এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

১৭ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও কেবল পাঁচজন ডাক্তার দিয়ে কোন মতে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। এর মধ্যে চোখ, নাক-কান-গলা ও মেডিসিনের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে ডাক্তার নেই দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়া যেসব বিভাগে ডাক্তার আছেন তাদেরও সময় মত দপ্তরে দেখা মেলে না বলে অভিযোগ রোগীদের।

রোগীরা জানান, ‘১০টা থেকে হাসপাতালে বসে আছি ১১টার সময় বলছে ডাক্তার আসবে না। বলছে, ডাক্তার রাউন্ডে আছে, রাউন্ড করে ২টা/আড়াইটার দিকে রোগী দেখতে বসবে। কখন ডাক্তার বসবে, নাকি বসবে না কোনও কিছুই জানা যায় না।’

এদিকে, আট বছর আগে আসন সংখ্যা বাড়ানো হলেও জনবল রয়ে গেছে আগের মতোই। তাই রোগীর চাপ সামাল দিতে প্রতিনিয়তই  হিমশিম খেতে হয় ডাক্তার ও নার্সদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১শ’ শয্যার হাসপাতালে মেডিকেল অফিসারের পোস্ট ১৭ জন কিন্তু আছে মাত্র  ৪জন। এছাড়া, চোখ, নাক-কানের এবং মেডিসিন বিভাগের কনসাল্ট না থাকায় রোগীদের সেবা দিতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে।’

তবে এসব সমস্যা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানালেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মো. আলাউদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আমরা শূন্য পদের তালিকা দিয়েছিলাম। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন অচিরেই এ শূন্যপদগুলো পূরণ করবেন।’

২০০৬ সালে ৫০ থেকে ১’শ শয্যা করার পর আবারও আড়াইশোতে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে হাসপাতালটিতে। তবে শুধু আসন বৃদ্ধির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জনবল নিয়োগ দেয়াসহ সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top