সকল মেনু

ডিসিসি নির্বাচন: প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রচারণায় সরব প্রার্থীরা

dcc-campaignনিজস্ব প্রতিবদেক : ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও অনেকটা আগে-ভাগেই সরব হয়ে উঠেছে রাজধানীর ভোটের মাঠ। এরই মধ্যে পুরো মহানগরীই প্রায় ছেয়ে গেছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানারে। নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ভিড় করছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। নাগরিকরা বলছেন, এবার যোগ্যতার পরীক্ষা দিয়েই নির্বাচিত হতে হবে মেয়রকে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দ্বিখণ্ডিত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও ভোটারদের কাছে নিজেদের পরিচিত করতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এভাবেই উন্নয়ন আর প্রতিশ্রুতির বার্তায় জানান দিচ্ছেন তাদের প্রার্থিতা।

এরই মধ্যে বেশ ক’টি রাজনৈতিক দলও তাদের সমর্থিত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। আর তাই, প্রার্থীরা ঘরে না বসে থেকে দিন পার করছেন, কখনো সমর্থক গোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময়ে কখনো বা ভোটারদের দ্বারে গিয়ে।

তবে, প্রার্থীদের দেয়া প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়ন চায় নগরবাসী।

তারা বলেন, ‘জনগণ এখন কাজ দেখতে চায়। তারা এখন অনেক সচেতন। মিষ্টি কথায় চিরা ভিজে না। বিএনপি হোক, আওয়ামী লীগ হোক বা যেই হোক তাকে অবশ্যই এলাকার কাজ করতে হবে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকে এলাকার কাজ করে না। যে ব্যক্তি এলাকার কাজ করবে, সুখে-দুখে যাকে পাবো তাকেই আমরা ভোট দেবো।’

অন্যদিকে, নির্বাচনী লক্ষ্য পূরণে বদ্ধপরিকর প্রার্থীরাও যে যার মতো করে ভাবছেন আগামীর রাজধানী নিয়ে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কাও আছে কারো কারো।

জাতীয় পার্টি সমর্থিত সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন বলেন, ‘মাদক আসক্ত আজকের যুব সমাজ, ঢাকা শহর আজ চাঁদাবাজদের দখলে। যদি আমি তৃতীয় ধারা থেকে মেয়র নির্বাচিত হই। তাহলে আমি একজন শক্তিশালী মেয়র হবো।’

আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন বলেন, ”ঢাকার দক্ষিণ এলাকায় নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। ‘দল যার যার, মেয়র সবার’ আমি এই স্লোগানকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। নগর ভবন দলীয় রাজনীতির কার্যালয় হবে না। নগর ভবন হবে নগরবাসীর সেবা কেন্দ্র।”

সিপিবি সমর্থিত সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘শিডিউল হয়নি, নির্বাচনের কথা বলার সাথে সাথে কোটি টাকার উৎসব চলছে। সুতরাং নির্বাচন শুরুর আগেই আচরণ-বিধি কিন্তু লঙ্ঘিত হচ্ছে। এই বোমা উৎসব চলবে তার মধ্যে নির্বাচন হবে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, যদি এই রকম একটা পরিবেশ থাকে তাহলে নির্বাচনের কোনও পরিবেশ থাকবে না। এই নির্বাচন জনগণ গ্রহণ করবে না।’

তবে, সব ছাপিয়ে একটি অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নগর পিতার হাতেই নিরাপদ ঠিকানা হিসেবে গড়ে উঠবে আগামীর ঢাকা; এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top