সকল মেনু

৮ মার্চ থেকে বিশ্ব গ্লকোমা সপ্তাহ-২০১৫ শুরু

eyes-13490হট নিউজ ডেস্ক : গ্লকোমা একটি মারাত্মক দৃষ্টিনাশী রোগ। গ্লকোমা চোখের জন্মগত সমস্যার জন্যেও হতে পারে। আবার নবজাতকের চোখেও হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, কিশোর বয়স অর্থাৎ পনের বৎসর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেও বিভিন্ন পর্যায়ে এ রোগ দেখা দিয়েছে।

আবার পুরুষের তুলনায় মহিলারাই সাধারণত এ রোগে বেশি আক্রান্ত হন। তবে কম বয়সীদের তুলনায় মধ্যবয়সী বা পঞ্চাশোর্ধ মহিলাদের আক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায়। পরিসংখ্যানে জানা যায়, সর্বমোট অন্ধত্বের দ্বিতীয়তে গ্লকোমার অবস্থান। ফলে সময়ের প্রেক্ষিতে এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির বিষয়টি এখন গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হচ্ছে। একই কারণে বিষয়টি আলোচনার সূত্রপাত।

গ্লকোমার লক্ষণ সমূহ:

প্রধানত এ রোগে চোখের দৃষ্টিস্নায়ু ক্রমান্বয়ে শুকিয়ে আসে। ফলে প্রথমে দৃষ্টি পরিধি কমে যায় এবং ক্রমে দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা হ্রাস পায়। এ রোগের প্রভাবে নিজের অজান্তেই রোগীকে অকাল অন্ধত্ব বরণ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে রোগী বুঝতেই পারেন না তার চোখ মারাত্মক দৃষ্টিনাশী রোগ- গ্লকোমা’র শিকার।

গ্লকোমা বিষয়ক সচেতনতা:
গ্লকোমা
গ্লকোমা বিষয়ক গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ৮ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্লকোমা সপ্তাহ এবং ১২ মার্চ গ্লকোমা দিবস পালিত হতে যাচ্ছে। ওয়ার্ল্ড গ্লকোমা এসোসিয়েসন ও ওয়ার্ল্ড গ্লকোমা পেশেন্টস এসোসিয়েসন এ বৎসর যৌথভাবে গ্লকোমা সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে- ‘দৃষ্টিনাশী গ্লকোমা রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।’ আর এ বছর গ্লকোমা সপ্তাহের শ্লোগান ‘উপসর্গহীন গ্লকোমা প্রতিহত করুন’ (Beat Invesible Glaucoma).

বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটি গ্লকোমা সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটি ‘বিনামূল্যে’ গ্লকোমা নির্ণয়ের আয়োজন করেছে- গ্লকোমা সোসাইটির অফিস। ১৪ মার্চ শনিবার সকাল ৮.৩০ থেকে ১১.০০টা পর্যন্ত গ্লকোমা নির্ণয়ের কাজ চলবে।

ঠিকানা: হারুন আই ফাউন্ডেশন হাসপাতাল
রোড নং-৫, বাড়ি নং-১২/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা।

এছাড়াও গোটা সপ্তাহজুড়ে ঢাকায়- আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ১০ মার্চ এবং বাংলাদেশ আই হাসপাতালে ১২ মার্চ সকাল থেকে এবং বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় এ কার্যক্রম চলবে। জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে-বগুড়া, রাজশাহী, যশোর এবং চট্টগ্রাম। এ ছাড়াও বিভিন্ন চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে গ্লকোমা রোগ নির্ণয়ের বিশেষ কার্যক্রম চলবে।

চিকিৎসা গ্রহণের সুবিধা সমূহ:

* গ্লকোমা রোগে চোখের দৃষ্টিস্নায়ু শুকিয়ে যায় বিধায় প্রাথমিক পর্যায়ে তা নির্ণীত হলে রোগী তার বাকি জীবন মোটামুটি স্বাভাবিক দৃষ্টি নিয়ে চলতে পারবেন।

*এ রোগটি চল্লিশোর্ধ বয়সের মানুষদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। চোখের পাওয়ার দ্রুত হ্রাসের কারণে রোগীর ঘন ঘন চশমা বদল লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান অনেকটা সম্ভব।

* গ্লকোমা সব বয়সেই হতে পারে বিধায় বৎসরে অন্তত একবার হলেও চোখের প্রেসার মাপানো উচিত। এর ফলে চোখের সুস্থতা নিশ্চিত হওয়া যায়।

* মনে রাখতে হবে, পরিবারে কারো গ্লকোমা রোগ থাকলে নিজের চোখের প্রেসার মাপা উচিত।
ডা. নাজনীন খান

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

মহাসচিব,বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটি

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top