সকল মেনু

বন্ধন’র লেখক ও সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

 মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী ০৭ মার্চ: নীলফামারীর সৈয়দপুরের মিস্ত্রীপাড়া মোড়ে সৈয়দপুর বন্ধন শিল্পী গোষ্ঠী সৈয়দপুরের ৪ জন কৃতি সন্তানকে সংবর্ধিত করলো শুক্রবার। অনুষ্ঠানটি ছিল ৪ জন কৃতি সন্তানের মধ্যে দু’জন লেখক ও দু’জন সাংবাদিক। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তাহের আলী বসুনিয়া এবং সভা পরিচালনা করেন রিপোর্টাস ক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক শাহজাহান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রইজউদ্দিন রকি, রহুল কুদ্দস, কহিনূর বানু প্রমূখ। স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, কৃষি খবরে কর্তৃক সম্মননা প্রাপ্ত সাংবাদিক এম আর মহসিন, সাহসী খবরে সম্মননা প্রাপ্ত সাপ্তাহিক নীলফামারী চিত্র পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, একুশে বই মেলায় বই প্রকাশিত হওয়া জীনের প্রেম বইটির লেখক ওয়াহেদ সরকার এবং কথা সাহিত্যিক পল্পগ্রন্থ আসূয়া বইয়ের লেখক কথা সাহিত্যিক আকমল সরকার রাজু।  অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দপুর আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্য, মোঃ আব্দুর রউফ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমে একটা সমাজকে যে পরিবর্তন করে দেয়া যায় এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বাঙালি কৃষ্টি-সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারাকে আমরা কীভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছিলাম তার উদাহরণ টেনে বক্তারা বলেন, ষাটের দশকে একষট্টির দিকে সরকার রবীন্দ্র জয়ন্তী করতে দেবে না; কিন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম করবো। এবং আমরা জনমত গড়ে তুলে এমন পর্যায় নিয়ে গেলাম, শাসকগোষ্ঠী বহু চেষ্টা করেও বানচাল করতে পারেনি। বক্তারা বলেন, তখনকার চরম রাজনৈতিক প্রতিকূলতাকে রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীর মাধ্যমে প্রতিক্রিয়াশীলদের মোকাবিলা করা হয়েছে। আজ আমাদের সংস্কৃতির একটি বড় অংশ হলো সাংবাদিক ও লেখক। বাংলা সংস্কৃতি প্রসারে আপনাদের কলম আরও শক্তিশালি করে সমাজ উন্নয়নে কাজ করার অহবান জানান এবং ৪ জন কৃতিসন্তানদের হাতে শুভেচ্ছা স্বারক তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top