সকল মেনু

এদেশের মাটিতেই তার বিচার হবে- শেখ হাসিনা

 সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে আছাদুজ্জামান,ঢাকা:  আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালেদার বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে। তাদের কোনো ক্ষমা নেই। এদেশের মাটিতেই তার বিচার হবে। জঙ্গিবাদ আমরা মেনে নেবো না। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে শাস্তি পেতেই হবেই। জঙ্গি নেত্রীর বিচার হবেই হবে।’

শনিবার ৭ই মার্চ উপলক্ষে বিকেল ৫ টা ৯মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগ আয়োজিত জনসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অফিসের মধ্যে বসে মানুষ হত্যা করবেন।সেটা আমারা কোন ভাবেই সহ্য করবো না।’

তিনি বলেন, ‘যারা এদের সমর্থন দেবেন তারাও সমান অপরাধী। বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করা কোনোভাবেই মেনে নেবো না। খালেদার বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে। তাদের কোনো ক্ষমা নেই। এদেশের মাটিতেই তার বিচার হবে। জঙ্গিবাদ আমরা মেনে নেবো না। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাড়াতে হবে। খালেদা জিয়াকে শাস্তি পেতেই হবেই। জঙ্গি নেত্রীর বিচার হবেই হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১ বছর মানুষ স্বাধীনতার ইতিহাস উচ্চারণ করতে পারেনি। ২১ বছর বঙ্গবন্ধুর ভাষন বাজাতে দেয়া হয়নি। কিন্তু কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না। তা আজকে সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক জায়াগায় বোমা হামলা করেছেন। কারা করেছেন বেগম খালেদা জিয়া করেছেন। একটি বিশেষ দল নির্বাচনে আসেনি। তাই তিনি নির্বাচনে আসেননি। তিনি নির্বাচনে না এসে শত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন। কোরাআন শরিফ পুড়িয়েছেন। প্রিজাইডিং অফিসারকে হত্যা করেছেন। তিনি জঙ্গবাদী কর্মকাণ্ড করেও নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চেয়েছিল। ওই জঙ্গি নেত্রীর অশান্তির আগুনে বাংলাদেশের মানুষ পুড়ছে। তিনি অফিসে গিয়ে বসে আছেন। উনি ওখানে বসে কী করেন মানুষ জানেন না। তিনি ড্রাইভার হেলপারসহ সাধারণ মানুষদের পুড়িয়ে মেরেছেন। তিনি গত বছরের মতো আবার সেই খেলা খেলছেন। জঙ্গি নেত্রীর কথা দেশের মানুষ মানে না। হরতাল কেউ মানেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওনার বিরুদ্ধে জিয়া অর্ফানেজের নামে এতিমদের টাকা দুর্নীতি করে মেরে দিয়েছিলেন। ওই মামলা দিয়ে গেছেন ফখরুদ্দিন ও মইনউদ্দিন। উনি ৬০ দিন হাজিরা দেননি। মাত্র ৭ দিন গিয়েছেন। তাও গিয়েছেন সন্ত্রাসি ক্যাডারবাহিনী নিয়ে। তিনি এমপি ছবি বিশ্বাসের গাড়িতে হামলা করেছেন। উনি যদি নিজেকে আত্মবিশ্বাসী মনে করেন তা হলে উনি কেন কোর্টে গিয়ে মামলা মোকাবেলা করেন না। সবাই বলে, চোরের মন পুলিশ পুলিশ। নানা অজুহাত দিয়ে উনি কোর্টে যান না। উনি বলেন নিরাপত্তা নেই। পুলিশ দিলে বলে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তাহলে যাবটা কোথায়? প্রত্যেক জেলায় জেলায় ওনার দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।’অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু,বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ, আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত,কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী,আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রমুখ ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top